কোনাে একটি কাজ ভালােভাবে সম্পূর্ণ করার পূর্বশর্ত হলাে পরিকল্পনা। তবে কাজের পরিকল্পনার চেয়ে কাজে লেগে যাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই ভাবনা-বাহুল্যের প্রয়ােজন নেই, প্রয়ােজন হলাে কর্মবাহুল্যের। সুতরাং যা ভাবতে হবে, তা কাজে রূপদান করেই সে ভাবনাকে সার্থক করতে হবে। কর্মের মধ্যেই জীবনের সাফল্যের বীজ নিহিত রয়েছে। সেজন্য কাজ করতে হয়। আর কাজের মাধ্যমেই মানবজীবনকে ধন্য করতে হয়। উলুবনে যেমন মুক্তা ছড়িয়ে লাভ হয় না, তেমনি শুধু শুধু ভাবনার কোনাে গুরুত্ব নেই। তা কোনাে কাজে লাগে না, অর্থহীন। কারণ, আমরা শুধু জ্বালানি কাঠকে আগুন বলি না, আর তাতে আগুন না দিলে তা জ্বলে না। ফলে তা কাঙ্ক্ষিত ফলও দেয় না। সুতরাং অনেক ভাবনার সার্থকতা নেই। তা থেকে অন্তত কিছু কাজে রূপদান করার মধ্যেই রয়েছে সার্থকতা। অনেকে বড় বড় কাজের পরিকল্পনা আঁটে, এটা করবে সেটা করবে বলে বাগাড়ম্বর করে কিন্তু কাজের বেলায় তারা ঠনঠন। বড় পরিকল্পনা আঁটা ভালাে কিন্তু তা কাজে রূপান্তরিত করা যাবে কিনা সেটিই প্রকৃত জিজ্ঞাসা। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাগাড়ম্বর কোনাে কাজের সিদ্ধি নিয়ে আসে না। তার চেয়ে পরিকল্পিত অল্প কাজ করাই ভালাে। সামর্থ্যের বাইরে কোনাে কিছু করতে যাওয়া আরেক ধরনের দুর্বলতা। ভাবনার চেয়ে কর্মের গুরুত্ব অনেক বেশি, সে ভাবনা যতই বড় হােক না কেন।
Recent Comments