টুকরো সংবাদ

কমােডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা

দেশে প্রথমবারের মতাে ‘কমােডিটি এক্সচেঞ্জ’ প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক সম্মতি লাভ করে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE)। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC) ও ২৮ অক্টোবর ২০২১ এ অনুমােদন দেয়। এর ফলে এখন (CSE) ) কমােডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়ােজনীয়।

কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। তবে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর আগে BSEC’র বেঁধে দেওয়া কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। ২০০৭ সালে সরকারি পর্যায়ে আলােচনার পর ২০০৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় ও BSEC তে কমােডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আবেদন করেন CSE’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত ওয়ালিউল মারুফ মতিন। এ জন্য তিনি কমােডিটি অ্যান্ড ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ (CDX) নামের একটি কোম্পানিও করেন।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

কিন্তু অনুমােদন না পাওয়ায় মৃত্যুর আগে তিনি এ-সংক্রান্ত কোনাে কাজ করতে পারেননি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ অনুযায়ী, কৃষিপণ্য, গবাদিপশু, মাছ, বনজ সম্পদ, খনিজ ও জ্বালানি পণ্যসহ উৎপাদিত যেকোনাে পণ্য কমােডিটি এক্সচেঞ্জের আওতায় কেনাবেচা করা যাবে। এসব পণ্য কেনাবেচা বা লেনদেনের উদ্দেশ্যে যে এক্সচেঞ্জ বা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, সেটিই কমােডিটি এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত হবে।

কমােডিটি এক্সচেঞ্জ কী

কমােডিটি এক্সচেঞ্জ হলাে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা হয়ে থাকে। সেই কেনাবেচা হয় কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। মূল পণ্যটি কোনাে গুদামে বা মাঠে থাকে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চুড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হয়। ধরা যাক, কমােডিটি এক্সচেঞ্জে আলু কেনাবেচা হলাে।

সরাসরি কৃষক বা হিমাগারের মালিক, যার মালিকানায় পণ্যটি রয়েছে তিনি এই আলু বিক্রি করতে পারবেন। আর কমােডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে যে কেউ এই আলু কিনতে পারবেন। আইনের মাধ্যমে এই আলু কেনাবেচার চুড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত একটি সময় বেঁধে দেওয়া হবে। ঐ সময় ক্রয়াদেশটি যার হাতে থাকবে, তাকে বিক্রীত আলু বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

Bcs Preparation

BCS Preparation provides you with course materials and study guides for JSC, SSC, HSC, NTRCA, BCS, Primary Job, Bank and many other educational exams.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button