মিউটেশন কী?
ভাইরাসের জিনের পরিবর্তনকে বলা হয় ‘মিউটেশন’ বা রূপান্তর। যখন একই ভাইরাসের দুটি ধরনের (স্ট্রেইন) উদ্ভব একই সাথে ঘটে, তখন তাকে বলে ডাবল মিউট্যান্ট। সব ভাইরাসই কিছু না কিছু রূপান্তর ঘটিয়ে। চলে। রূপান্তর হওয়া মানেই যে ভাইরাসটি বিপজ্জনক হবে, তা কিন্তু নয়। তবে যখন কোনাে রূপান্তরের কারণে একটি ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। বা অধিকতর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, তখন বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে সতর্ক করে থাকেন।
করােনাভাইরাসও রূপ পাল্টাচ্ছে একের পর এক। বিজ্ঞানীরা যখন এ ভাইরাসের মােকাবিলায় হরেক রকমের ওষুধ ও টিকা তৈরিতে অহর্নিশ পরিশ্রম করে চলেছেন, ভাইরাসটিও নিত্যনতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে। তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। করােনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর বিগত বছর দেড়েকের মধ্যে এ ভাইরাসের শুধু স্পাইক প্রােটিনেই চার হাজারের অধিক মিউটেশন ঘটেছে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে বাংলাদেশ
- বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি
- দেশের প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতাল
- কৃষকের সুরক্ষায় কিষানি ড্রোন
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা
- বাংলাদেশের নারী শিক্ষায় মালালা ফান্ড
- জাতীয় কৃষি কাউন্সিল গঠন
- ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু
- বিশ্বে প্রথম দ্বৈত টিকার অনুমােদন
- যুক্তরাজ্যে নতুন বাণিজ্যনীতি
কিন্তু মিউটেশনে সৃষ্ট এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশির ভাগই সংক্রমণের বিভিন্ন আঙ্গিকের নিরিখে বিশেষ কোনাে গুরুত্ব বহন করে।কিছু ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। এগুলাের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ভ্যারিয়েন্ট। হলাে— ইউকে (বি.১.১.৭), ব্রাজিলিয়ান (পি.১), সাউথ আফ্রিকান ; (বি.১.৩৫১), ক্যালিফোর্নিয়ান (বি.১.৪২৯) ও ইন্ডিয়ান (বি.১.৬১৭)।
WHO’র তালিকায় ৬ টিকা
৭ মে ২০২১ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করােনা মােকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি সিনেফার্মের ভ্যাক্সিন অনুমােদন করে।এটি পশ্চিমা দেশগুলাের বাইরে প্রথম কোনাে দেশের উদ্ভাবিত টিকা যা WHO’র জরুরি ব্যবহারের অনুমােদন পেল।
টিকার নাম | অনুমােদন |
Pfizer-BioNTech | ৩১ ডিসে, ২০২০ |
Vaxzevria | ১৫ ফেব্রু, ২০২১ |
Covishield | ১৫ ফেব্রু, ২০২১ |
Johnson & Johnson | ১২ মার্চ ২০২১ |
Moderna | ৩০ এপ্রিল ২০২১ |
BBIBP-CorV | ৭ মে ২০২১ |
করােনাভাইরাস বায়ুবাহিত
যুক্তরাষ্ট্রের রােগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরােধ কেন্দ্র (CDC) প্রথমবারের মতাে স্বীকার করেছে যে করােনাভাইরাস বায়ুবাহিত। ৭ মে ২০২১ করােনা সংক্রান্ত হালনাগাদ গাইডলাইনে এমন বক্তব্য দেয় সংস্থাটি। এতে বায়ুবাহিত হয়ে করােনা সংক্রমণের দিকটি জোরালােভাবে তুলে ধরা হয়।
উনাক্ত হচ্ছে টিকার মেধাস্বত্ব
৫ মে ২০২১ জো বাইডেন প্রশাসন করােনাভাইরাসের টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) উদ্যোগের প্রতি সমর্থন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী হলেও এখনই এই উদ্যোগ কার্যকর হচ্ছে না। কারণ এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌছাতে। WTO’র সদস্য দেশগুলাের একমত হতে হবে। ২০২০ সালের অক্টোবরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা করােনার টিকার মেধাস্বত্ব তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করে। ৬১টি দেশ এই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়।
পশুপাখির করােনা টিকা
করােনা মাহামারিতে পুরাে বিশ্ব প্রায় বিপর্যস্ত। মানুষের পাশাপাশি পশুপাখির প্রাণ রক্ষায় উদ্বেগের শেষ নেই। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে পশুপাখির টিকা। মানুষের জন্য করােনা টিকার প্রথম নিবন্ধন দেয়ার পর ২০২১ সালের মার্চ মাসে পশুপাখির জন্য করােনা টিকা তৈরি নিয়ে অগ্রগতির সুখবর দেয় রাশিয়া। তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন কারনিভ্যাক-কভ’ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানানাে হয় এবং সেটির নিবন্ধন দেওয়া হয়। এবার সেই টিকার প্রথম ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে।
রাশিয়ায় এক ডােজের টিকা
করােনাভাইরাস প্রতিরােধে Sputnik-V টিকার আরেকটি সংস্করণ এনেছে। রাশিয়া। এক ডােজের এ টিকার নাম দেওয়া হয়েছে Sputnik Light। ৬ মে ২০২১ দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ । টিকার অনুমােদন দেয়। এ টিকার অর্থায়ন করছে রাশিয়ান ডিরেক্ট । ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (RDIF)। দুই । ডােজের টিকা Sputnik-v টিকার । কার্যকারিতার (৯১.৬%) বিপরীতে । Sputnik Light করােনা প্রতিরােধে কার্যকারিতা ৭৯.৪%।
শিশুদের জন্য করােনার টিকা
৫ মে ২০২১ বিশ্বের প্রথম দেশ কানাডা বারাে কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশু-কিশােরদের জন্য মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়ােএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার অনুমােদন দেয়। ১০ মে ২০২১ মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন . (FDA) ফাইজার ও বায়ােএনটেক কোম্পানির কোভিড-১৯-এর টিকা ১২-১৫ বছর বয়সীদের দেওয়ার জরুরি অনুমােদন দেয়।
সর্বকনিষ্ঠ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী
প্রাণঘাতী করােনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের বিধিনিষেধ থাকলেও এর তােয়াক্কা না করে। ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে মাত্র ৮ মাস বয়সী এক। শিশু। এনজো মিনকোলা নামের শিশুটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউপিস্টেট বান্ডউইনসভিলের বাসিন্দা। শিশুটির বয়স পুরােপুরি ৮ মাস হওয়ার তিন সপ্তাহ আগেই তাকে ফাইজারের। প্রথম ডােজ দেয়া হয়। ১২ মে ২০২১ তাকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডােজ দেয়া হয়।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের টিকা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতাে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে গুটিবসন্ত নির্মূলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের টিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
টিকার নাম | উৎপাদন শুরু | উৎপাদন বন্ধ |
গুটিবসন্ত | ১৯৫৮ | ১৯৭৮ |
কলেরা | ১৯৫৮ | ১৯৯৭ |
টাইফয়েড | ১৯৫৮ | ১৯৯৭ |
কলেরা-টাইফয়েড | ১৯৫৮ | ১৯৯৭ |
জলাতঙ্ক | ১৯৭২ | ২০১১ |
টিটেনাস | ১৯৭৮ | ২০০৪ |
ডিপথেরিয়া | ১৯৭৮ | ১৯৮৭ |
টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশ
২৮ এপ্রিল ২০২১ অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি রাশিয়া ও চীনের দুটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে উৎপাদনের উদ্যোগ নীতিগতভাবে অনুমােদন করে। এর পূর্বেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সাতটি টিকা উৎপাদন করত। এখন বিদেশ থেকে টিকা এনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (EPI) ব্যবহার করা হয়।
উৎপাদনের ইতিহাস
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দুটি শাখায় দুই ধরনের টিকা তৈরি হতাে। একটি শাখায় কলেরা ও টাইফয়েড, অন্য শাখায় গুটিবসন্ত ও জলাতঙ্ক রােগের টিকা তৈরি হতাে। ১৯৫৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানে গুটিবসন্তের টিকা উৎপাদন শুরু হলেও ১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরামর্শে টিকা উৎপাদন বন্ধ করে। ১৯৫৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানে আরও তিনটি টিকা উৎপাদন শুরু হয়েছিল। সেগুলাে ছিল কলেরা, টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েডের টিকা এবং কলেরা-টাইফয়েডের টিকা। WHO’র পরামর্শে ১৯৯৭ সালে এই তিনটি টিকা উৎপাদনও বন্ধ করে। স্বাধীনতার পর। ১৯৭২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে জলাতঙ্ক রােগের টিকা উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদন চলে ২০১১ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৮ সালে টিটেনাসের টিকা উৎপাদন শুরু করে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। ১৯৭৮ সালে ডিপথেরিয়ার। টিকাও তৈরি হয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (EPI) এর চাহিদা না থাকায় ১৯৮৭ সালে ডিপথেরিয়ার টিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।
চীনের টিকা প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ায় করােনা টিকার জরুরি মজুত গড়তে চীনের উদ্যোগে গঠিত নতুন প্ল্যাটফর্ম Emergency Covid-19Vaccine Storage Facility। ২২ এপ্রিল ২০২১। বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মে যােগ দেয়ার সম্মতি জানায়। বাংলাদেশ ও চীন ছাড়া এই ; প্ল্যাটফর্মের বাকি চারটি দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকা। যখন যার দরকার হবে, এ প্ল্যাটফর্ম থেকে ৬টি দেশ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে।
করােনা শনাক্তে ‘সাইবারগ্রিন পদ্ধতি’
যশাের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক দল গবেষক কম খরচে করােনা-ভাইরাস শনাক্তে ‘সাইবারগ্রিন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতিতে প্রতি নমুনার জন্য ব্যয় হবে ১৪০ টাকার মতাে। আর সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। সাইবারগ্রিন পদ্ধতিতে করােনাভাইরাস শনাক্তের সেনসিটিভিটি প্রচলিত অন্যান্য কিটের সমপর্যায়ের। ১০ মে ২০২১ নতুন.এ প্রযুক্তির ঘােষণা দেওয়া হয়।
টাইমলাইনে বাংলাদেশের করােনা টিকার ব্যবহার
২০২০
- ৫ নভেম্বর : টিকা আমদানির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০২১
- ৮ জানুয়ারি : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমােদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
- ২৫ জানুয়ারি : প্রথম চালানে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডােজ টিকা আসে।
- ২৭ জানুয়ারি : বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে করােনাভাইরাসের টিকা প্রয়ােগ শুরু। সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়।
- ৭ ফেব্রুয়ারি : সারাদেশে একযােগে। করােনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু।
- ৮ এপ্রিল : দ্বিতীয় ডােজ টিকাদান শুরু।
- ২২ এপ্রিল : চীনের উদ্যোগে গঠিত Emergency Covid-19 Vaccine Storage Facility-এ যােগ দেওয়ার সম্মতি জানায় বাংলাদেশ।
- ২৪ এপ্রিল : চীনাদূতাবাসকে চিঠি দিয়ে টিকা পেতে আগ্রহের কথা জানানাে হয়।
- ২৬ এপ্রিল : ভারত থেকে টিকা আসা।অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় প্রথম ডােজ টিকা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
- ২৭ এপ্রিল : রাশিয়ার করােনা টিকা Sputnik-V-এর জরুরি ব্যবহারের অনুমােদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
- ২৮ এপ্রিল : চীনের করােনা টিকা সিনােফার্মের জরুরি ব্যবহারের অনুমােদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
- ৪ মে : অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘােষণা করা। হয় টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম।
- ৮ মে : রােগতত্ত্ব, রােগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (IEDCR) পক্ষ থেকে জানানাে হয় বাংলাদেশে করােনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে।
- ২৫ মে : চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডােজ টিকার প্রথম ডােজ দেয়া শুরু।
দেশে করােনার ধরন শনাক্ত
করােনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করােনাভাইরাসের চারটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ধরনগুলাে হলাে— ইউকে ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.১.৭), সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৩৫১), নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৫২৫) ও ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৬১৭.২)। প্রতি রােগতত্ত্ব, রােগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (IEDCR), ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস। (dSHi) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (icddr,b) যৌথ উদ্যোগে মােট ২০০ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রােগীর নমুনা সিকোয়েন্সিং করার পর এ তথ্য উঠে আসে। ১৭ মে ২০২১ IEDCR’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। পার্শ্ববর্তী। দেশ ভারতে করােনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়, যা ভারতীয় ধরন’ নামে পরিচিত। এ ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন (VOC) ঘােষণা করেছে। এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশে এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে WHO জানায়।