গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক অনুসঙ্গ/চরিত্র
- পঞ্চপাণ্ডব যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব এই পাঁচ জনকে একত্রে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়।
- অনসূয়া : মহর্ষি অত্রির স্ত্রী। তার কোন অসূয়া ছিলনা তাই নাম অনসূয়া।
- অপ্সরা : অপ (জল) থেকে উৎপন্ন বলে এদের নাম অপ্সরা। স্বর্গের নর্তকী।
- অমরাবতী : ইন্দ্রের আলয় ও রাজধানী।
- অযােধ্যা : সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত উত্তর কোশল রাজ্যের রাজধানী এবং দিলীপ, রঘু, রাম এবং সূর্য বংশীয় রাজাদের জন্মভূমি।
- অলকা : গন্ধর্বদের রাজধানী। অলকা নদীর তীরে কুবেরেরও রাজধানী।
- অহল্যা : ব্রহ্মার মানসী কন্যা ও শতানন্দের জননী ।
- ইন্দ্র : ঋগবেদের প্রধান দেবতা। বেদে দেবতার মধ্যে ইন্দ্রের স্থান প্রথম।
- ইন্দ্রজিৎ : রাবণের দ্বিতীয় পুত্র। মন্দোদরীর গর্ভে রাবণের ঔরসে ইন্দ্রজিতের জন্ম। দেবতা ইন্দ্রকে জয় করেছিল বলে তার নাম ইন্দ্রজিৎ। তার অন্য নাম মেঘনাদ। রাবণের প্রথম পুত্রের নাম বীরবাহু।
- উর্বশী : অপরূপ রূপলাবণ্যময়ী স্বর্গের অপ্সরা। কারাে মতে এই অপ্সরার জন্ম নারায়ণের উরু ভেদ করে। তাই তার নাম উর্বশী ।
- উমা : মহাদেবের স্ত্রী এবং হিমালয় ও সুমেরু দুহিতা মেনকার কন্যা। এর অন্যনাম পার্বতী।
- উলুপী : ঐরাবত বংশজাত কৌরব্য নাগের কন্যা।
- উর্মিলা : মিথিলার রাজা জনকের কনিষ্ঠাকন্যা ও সীতার ভগিনী। লক্ষ্মণের সাথে এর বিবাহ হয়। তার গর্ভে অঙ্গদ এবং চন্দ্রকেতু নামে দুই পুত্র জন্মে।
- কল্কী : বিষ্ণুর দশ অবতারের শেষ অবতার ।
- কংস : ভােজবংশীয় রাজা। ইনি মথুরার রাজা উগ্রসেনের ক্ষেত্রজপুত্র মগধরাজ জরাসন্ধের জামাতা এবং শ্রীকৃষ্ণের মামা।
- কপিলা : দক্ষ প্রজাতির ষাট জন কন্যার অন্যতমা। মহর্ষি কশ্যপের সঙ্গে এর বিবাহ হয়।
- কার্তিকেয় : মহাদেব ও পার্বতীর পুত্র।
- কালাপাহাড় : তুর্কি আমলের একজন বীর, তিনি প্রথমে ব্রাহ্মণ ছিলেন পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
- কালকেতু : জনৈক ব্যাধ পুত্র। ইনি ইন্দ্র পুত্র নীলাম্বর নামেও পরিচিত।
- কুন্তী : পাণ্ডবদের জননী। শ্রীকৃষ্ণের পিতা বাসুদেবের ভগ্নী।
- কুবের : ধনাধিপতি যক্ষরাজ। বিশ্রবার পুত্র বলে এর অন্যনাম বৈশ্রবণ।
- কুম্ভকর্ণ : রাবণের মধ্যম ভাই। নিকষার পুত্র।
- কুরুক্ষেত্র : কুরু পাণ্ডবের রণভূমি।
- কৃষ্ণ : বাসুদেব দেবকীর অষ্টম সন্তান। বিষ্ণুর অষ্টম অবতারও বলা হয় তাকে।
- কৈকয়ী : কেকয়-রাজকন্যা। অযােধ্যার রাজা দশরথের মধ্যমা স্ত্রী ও ভরত জননী।
- রাম : দশরথ-কৌশল্যার সন্তান। লক্ষণের ভাই, সীতার স্বামী।
- সীতা : রামের স্ত্রী। জনকের কন্যা। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করার সময় লাঙ্গলের ফাল দিয়ে যে গর্ত তৈরি হয় সেই গর্ত থেকে সীতার জন্ম।
- কৈলাস : একটি পর্বতের নাম। মহাদেব ও কুবেরের বাসস্থান।
- কৌশল্যা : অযােধ্যার রাজা দশরথের প্রধান স্ত্রী, রামের জননী। গনেশ দেবতা । সে শিব ও পার্বতীর পুত্র।
- চণ্ডী : দেবী দুর্গার অন্যনাম চণ্ডী।
- দধীচি : অর্থব মুনির ঔরসে এবং কর্দম কন্যা শান্তির গর্ভে এর জন্ম হয়।
- দশরথ : সূর্যবংশীয় নৃপতি অজের পুত্র সে। রাম-লক্ষণের পিতা। কৌশল্যা, কৈকেয়ী, ও সুমিত্রা নামে তার তিন স্ত্রী ছিল।
- দশানন : রাবণের অন্যনাম।
- দ্রৌপদী : রাজা দ্রুপদের কন্যা। পাণ্ডবদের স্ত্রী, অথাৎ পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী দ্রৌপদী।
- নিকষা : মহর্ষি বিশ্রবার স্ত্রী। এর গর্ভে রাবণ, কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ, শূর্পণখা জন্ম গ্রহণ করে ।
- পরশুরাম : ইনি বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার এবং জমদগ্নি ও রেণুকার পঞ্চম পুত্র।
- পান্ডব : পাণ্ডু ও কুন্তীর পাঁচ পুত্রদেরকে একেক পা বলা হয়। (যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব)
- প্রমীলা : রাবণের পুত্র মেঘনাদের স্ত্রী।
- ফুল্লরা : চণ্ডীমঙ্গলের কালকেতুর স্ত্রী ফুল্লরা।
- বলরাম : বাসুদেব ও তার স্ত্রী রােহিণীর পুত্র। শ্রীকৃষ্ণের জ্যৈষ্ঠভ্রাতা। বলভদ্র এবং বলদেব নামেও সে প্রসিদ্ধ।
- বাল্মীকি : বরুণের পুত্র এবং রামায়ণ রচয়িতা মহর্ষি ও আদি কবি। বাল্মীকি রত্নাকর দস্যু নামে পরিচিত ছিলেন। ব্রহ্মার বর পেয়ে তিনি রামায়ণ রচনা করেন।
- বিভীষণ : রাবণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। মেঘনাদবধ কাব্যে এই ছিল বিশ্বাসঘাতক।
- বৃহন্নলা : ক্লীবরূপী অর্জুন।
- বেদব্যাস : কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন নামে বিখ্যাত। তিনি বেদকে শত শাখা যুক্ত করে চার ভাগে ভাগ করেন। তাই তাকে বেদব্যাস নামে অভিহিত করা হয়।
- ভৃগু : যজ্ঞ সম্ভব মহর্ষি । ভার্গব বংশের প্রতিষ্ঠাতা। প্রাচীনকালে ব্রহ্মা বরুণের এক যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন। এই যজ্ঞাগ্নি থেকে মহর্ষি ভৃগুর জন্ম হয়।
- মনসা : সর্পের দেবী।
- মেঘনাদ : রাবণের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি প্রমীলার স্বামী। মেঘনাদের অন্য নাম ইন্দ্রজিৎ।
- মেনকা : প্রসিদ্ধা অপ্সরী, শকুন্তলার জননী। এই মেনকাই মহর্ষি বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভঙ্গ করে তার সাথে মিলিত হয়। এই মিলনেই শকুন্তলার জন্ম হয়।
- রাধা : কৃষ্ণ প্রেমিকা গােপবালা । আইহন/আয়ান ঘােষের স্ত্রী। নন্দগােয়লার মেয়ে।
- শূর্পণখা : শূর্পণখা একজন রাক্ষসী, রাবণের বােন।
- সরস্বতী : বিদ্যার বরদাত্রী দেবী।
- হিড়িম্বা : রাক্ষস হিড়িম্বের ভগিনী, অরণ্যচারিনী রাক্ষসী।