
জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য
জ্ঞানের উপযােগিতা ও গুরুত্বের কোনাে তুলনা নেই। জ্ঞানই শক্তি বলে বিবেচনা করা হয়। মানব জীবনে জ্ঞানের সীমাহীন প্রয়ােগে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের পথ ধরেই মানুষ আদিম জীবন থেকে বর্তমানের উন্নত জীবনে এসে পৌছেছে। বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে জ্ঞান বাহন হিসেবে কাজ করছে। জ্ঞানের গুরুত্ব মানবজীবনে অপরিসীম। পথিবী জুড়ে ছড়ানাে মানুষ নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণে বিভক্ত। মানুষের আচার-আচরণ সর্বত্র এক নয়। আকারে-প্রকারে, ধর্মে-বর্ণে মানুষের এই পার্থক্য বিশ্বের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচনার যােগ্য। মানুষে মানুষে এই পার্থক্য বর্তমান থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মানুষের ঐক্য রয়েছে এবং তা হলাে জ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে, এক মহামিলনের তীর্থে মানুষকে মিলিত করেছে। মানুষ দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণে যতই পৃথক হােক না কেন, জ্ঞান সাধনার পথে মানুষের কোনাে ব্যবধান নেই। সবাই একই পথের পথিক, কারণ জ্ঞানের ব্যাপারে মানুষের ভিন্নতা নেই। জ্ঞান সকলের মনকে সমানভাবে উচ্চকিত করে। জ্ঞানের তাৎপর্য একজনের কাছে একরকম, অন্যজনের কাছে ভিন্ন। রকম এমন মনে করার কোনাে কারণ নেই। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জ্ঞান সকল বিশ্বমানবের কাছে একই মর্যাদায় বিধৃত হয়। জ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের প্রয়ােগের ব্যাপারে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। জ্ঞানের রাজ্যের মানুষের মনের কোনাে পার্থক্য নেই। জ্ঞান মানুষের মধ্য থেকে সকল পার্থক্য দূর করে। জ্ঞানের সুফল সকল মানুষই ভােগ করে। সবাই জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারে। জ্ঞানের সীমাহীন তাৎপর্য বিশ্বের মানুষকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে রেখেছে।
এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :
- কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
- পথ পথিকের সৃষ্টি করে না পথিকই পথ সৃষ্টি করে
- অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
- অসি অপেক্ষা মসী অধিকতর শক্তিমান
- অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- অর্থই অনর্থের মূল
- অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়