100 English Essay For Juniors

বসন্তের প্রকৃতি

ভূমিকা :

ফাল্গুন-চৈত্র এ দুই মাস বসন্তকাল। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে বাংলাদেশের প্রকৃতি সম্পূর্ণ পালটে যায়। পাতাঝরা শীতের বৈরাগ্য আর থাকে না। গাছের ডালে কচি কিশলয় উঁকি দেয়। পত্রপল্লবে ভরে যায় বৃক্ষের শাখা। মুকুলিত বৃক্ষের শাখায় মৌমাছিদের গুঞ্জন, কোকিলের কুহু তানে ভরে যায় হৃদয়। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই গান

‘আহা, আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য

বসন্তের রূপবৈচিত্র্য :

বসন্তের প্রকৃতি খুবই মনােরম। পত্রপুষ্পে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তখন সবুজ বন-বনানী। নানা বর্ণের ফুলের সৌরভে বাতাস আমােদিত হয়। শিমুলের লাল থােকা থােকা ফুলের আড়ালে নেচে ওঠে শালিক পাখি, ময়না, টিয়ে। ঘন বনের আড়ালে লুকিয়ে কু-উ করে ডেকে ওঠে কোকিল। প্রকৃতির এই সাজবদল মানুষের মনেও নতুন এক বার্তা বয়ে আনে।

বৌ কথা কও’ পাখির গানে মানুষের মনও প্রকৃতির সঙ্গে আত্মলীন হয়ে যায়। অজানা আনন্দে হৃদয় ভরে যায়। ধান-কাউনের মাঠে মটরশুটির লতানাে গাছ, সরষে ফুলের হলুদ বনে প্রজাপতির লুটোপুটি এসব মনােরম শােভা সত্যি আনন্দের। আমের শাখায় দেখা যায় নতুন মঞ্জরি। মৌমাছির গুঞ্জন, মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যায়। আবহাওয়া থাকে নাতিশীতােষ্ণ।

আরো পড়ুন : বর্ষণমুখর একটি দিন

উপসংহার :

বসন্ত বাংলার সুরভিত এক ঋতু। এ ঋতুতে প্রকৃতি যেমন আপন সাজে নিজেকে সজ্জিত করে, তেমনি মানুষের মনেও এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়। বসন্ত তাই সবার কাছে কাঙ্ক্ষিত ঋতু। কবিসাহিত্যিকরা নানাভাবে বসন্তের বন্দনা করেছেন। ঋতুরাজ’ বলে অভিহিত করে বসন্তের প্রশংসা করেছেন।

Related Post