ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন— মুহাম্মদ বিন কাসিম; সিন্ধু ও মুলতানের রাজা দাহিরকে পরাজিত করে তিনি ৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু জয় করেন। তিনি সর্বপ্রথম উপস্থিত হন- সিন্ধুর দেবল শহরে।
বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন— ইখতিয়ার উদ্দিন মােহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী; বাংলার শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে তিনি বাংলা জয় করেন-১২০৪ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতে সর্বপ্রথম তুর্কি সাম্রাজ্যের বিস্তার করেন— মুহাম্মদ ঘুরী; ঘুরীর প্রকৃত নাম মঈজউদ-দীন মুহাম্মদ-বিন-সাম।
তারাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয়— মুহাম্মদ ঘুরী ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে; প্রথম যুদ্ধে (১১৯১) জয়লাভ করেন— পৃথ্বীরাজ; দ্বিতীয় যুদ্ধে (১১৯২) জয়লাভ করেনমুহাম্মদ ঘুরী।
গজনীর সুলতান মাহমুদ ১০০০ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারত আক্রমণ করেন— ১৭ বার; সুলতান মাহমুদের সভাকবি ছিলেন মহাকবি ফেরদৌসী (প্রাচ্যের হােমার); সভার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ ছিলেন- আল বেরুনী।
বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেন— ফখরুদ্দিন মােবারক শাহ; তিনি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি রাজপথ নির্মাণ করেছিলেন।
দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা— শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ; তিনি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন- কুতুব মিনারের।
দিল্লির সিংহাসনে আরােহণকারী প্রথম মুসলিম নারী— সুলতানা রাজিয়া সুলতানা রাজিয়া সিংহাসনে আরােহণ করেন- ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছিলেন— শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কন্যা।
দিল্লি থেকে বাংলার রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন— মুহাম্মদ বিন তুঘলক; তিনি ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন প্রতীকী মুদ্রা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ— ষাট গম্বুজ মসজিদ (বাগেরহাট); মসজিদের প্রকৃত গম্বুজ সংখ্যা- ৮১টি; মসজিদটি (পঞ্চম শতাব্দীতে) নির্মাণ করেন— খান জাহান আলী।
তৈমুর লং ভারত আক্রমণ করেন—১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতবর্ষে স্থায়ী মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেক; তিনি প্রথম জীবন শুরু করেছিলেন মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতদাস হিসেবে তিনি কুতুব মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
দানশীলতার জন্য তাকে বলা হতাে— লাখবক্স। ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে আগমন করেন— মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে; তুঘলক— ইবনে বতুতাকে প্রথমে দিল্লির কাজী এবং পরে চীনের রাষ্ট্রদূত করেন।
বতুতা ছিলেন- মরক্কোর নাগরিক; ভ্রমণ করেন সােনারগাঁও; তাঁর রচিত গ্রন্থ রেহেলা; তিনি বাংলাকে ধনসম্পদপূর্ণ নরক বলে অভিহিত করেন।
বাংলাকে ‘বুলগাকপুর’ বা বিদ্রোহের নগর হিসেবে অভিহিত করেন ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী।
সমগ্র বাংলার সর্বপ্রথম অধিপতি মুসলিম সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ; তিনি বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা; তিনি লাভ করেন শাহ-ই-বাঙ্গালা উপাধি। তাঁর সময় থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিতি লাভ করে বাঙ্গালা নামে।
মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন আলাউদ্দিন খলজি। রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ যে সুলতানের বৈশিষ্ট্য ছিল- গিয়াসুদ্দীন বলবন।
বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি – হুসেন শাহী আমলে; বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপােষকতার জন্য বিখ্যাত হুসেনশাহী শাসক আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
গৌড়ের বিখ্যাত বড় সােনা মসজিদ ও বারদুয়ারী মসজিদের নির্মাতা— নুসরত শাহ।
Leave a Comment