প্রতিষ্ঠান | World Meteorological Organization |
প্রতিষ্ঠা | ২৩ মার্চ, ১৯৫০ |
সদর দপ্তর | জেনেভা, সুইজারল্যান্ড |
প্রেসিডেন্ট | আবদুল্লাহ আল মান্দোস (সংযুক্ত আরব আমিরাত) |
সাধারণ সচিব | সেলেসতে সওলো (আর্জেন্টিনা, ২০২৪) |
সদস্য রাষ্ট্র | ১৯৩টি (২০২৩) |
WMO-এর পূর্ণরূপ World Meteorological Organization। এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। সাধারণত সকল সদস্য রাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগের প্রধানগণের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। WMO- এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের উন্নতি বিধান ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ ।
১৮৭৩ সালে আবহাওয়ার তথ্য ও গবেষণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম হিসেবে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা (IMO) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল কনভেনশনে IMO-এর সার্বিক অবস্থা, কাঠামো সংস্কার ও নীতি-নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই কনভেনশনেই IMO আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’ (WMO) নামে আত্মপ্রকাশ করে । কনভেনশনটি ২৩ মার্চ ১৯৫০ সালে কার্যকর হয় এবং পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫১ সালে WMO জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুকে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সীমারেখায় আবদ্ধ করা যায় না। তাই এর সকল সদস্য রাষ্ট্রকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাই হলো এর মূল লক্ষ্য ।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মূল কার্যক্রম হলো বিশ্ব আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ (World Weather Watch)। এর মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহ ও টেলিযোগাযোগের নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয় ৷ কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর ভূমি ও সমুদ্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করা হয় । অন্যদিকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বিশ্ব জলবায়ূ কর্মসূচির (World Climate Programme) মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়ন, বায়ুমণ্ডলের গবেষণা ও পরিবেশ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওজোন স্তর যে প্রতিনিয়ত ক্ষয় হচ্ছে সে বিষয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। জলবায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)। এটি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত কনভেনশন বাস্তবায়নে সহায়তা করে থাকে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে সংস্থাটি ।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে একই সময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এবং তা এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় টিকে থাকতে পারে । তাই বিভ্রান্তি এড়াতে, ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতা ছড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও প্রশমনের জন্য প্রতিটি ক্রান্তীয় ঝড়েরই একটি করে নাম দেওয়া হয় । বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র অববাহিকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া দপ্তর (আরএসএমসি) এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস)। বিশ্বজুড়ে ৬টি আরএসএমসি এবং ৫টি টিসিডব্লিউএস রয়েছে।
সংস্থার সাধারণ নীতি-নির্ধারণের জন্য প্রতি চার বছর পরপর সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশ্ব আবহাওয়া সভা (World Meteorological Congress) অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার একটি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল রয়েছে, যা ৩৬টি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। কাউন্সিলটি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও নিয়ম-নীতি নিয়ে আলোচনা করতে বছরে একবার সভার আয়োজন করে থাকে ।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ডব্লিউএমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে অভীষ্ট-১৩-তে ‘জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম বা পদক্ষেপ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ডব্লিউএমও এসডিজির লক্ষমাত্রা অর্জনে যেসব কাজ করে তা হলো—
Leave a Comment