100 English Essay For Juniors

উনিশ শতকে বাংলা তথা সমগ্র ভারতে পাশ্চাত্য-শিক্ষার প্রসারের ফলে একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণী গড়ে ওঠে। এ শ্রেণী সভ্যতা ও রাজনীতি সম্বন্ধে জ্ঞান লাভের ফলে তাঁদের মধ্যে জাতীয়তাবােধ সৃষ্টি হয়। এ শ্রেণী নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অধিকার আদায়, ভারতীয়দের অভাব অভিযােগ, দাবিদাওয়া সরকারের কাছে পেশ করার জন্য একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করেন।

স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন, স্বায়ত্তশাসন অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে তারা উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। এ পরিস্থিতিতে অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম নামক একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারত-দরদী সিভিলিয়ান ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৮৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মুম্বাইতে (বােম্বে) বাঙালি ব্যারিস্টার উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে সত্তর জন প্রতিনিধি যােগদান করেন। এ অধিবেশনে কয়েকটি উদ্দেশ্য স্থির করা হয়

  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিকের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সংহতি স্থাপন করা।
  • দেশের স্বার্থে নিবেদিত ব্যক্তিদের মধ্যে যােগাযােগ ও মৈত্রী গঠন করা।
  • সামাজিক সমস্যাগুলাে লিপিবদ্ধ করা এবং
  • রাজনীতিবিদদের নীতি ও লক্ষ্য স্থির করা।

প্রথমদিকে কংগ্রেসের সদস্যরা ছিলেন মধ্যপন্থী এবং উদ্দেশ্য ছিল শান্তিপূর্ণভাবে আলােচনা করা এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করা। পরে এ প্রতিষ্ঠান ইংরেজ-বিরােধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে জাতীয় কংগ্রেস এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Related Post

Leave a Comment