আপনি সবচেয়ে লাভজনক বিজনেস আইডিয়া খুঁজছেন, তাই তো? ব্যবসায়ী থেকে উদ্যোক্তা, সবাই এমন সব ব্যবসা খুঁজে থাকেন, যাতে বিনিয়োগে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। আর সত্যিকার অর্থে লাভজনক বিজনেস আইডিয়া চলমান রয়েছে, যা কখনও বন্ধ হবে না। এমনকি পৃথিবী ধ্বংশ হওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে এই ব্যবসাগুলো।
প্রায় প্রতিদিনই আমরা কোন না কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে থাকি। কারণ সবাই ব্যবসা করে সফল হতে পারেন না। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে সঠিক ও লাভজন বিজনেস আইডিয়া বেছে নিতে ভুল করা, সঠিক বিনিয়োগ এবং অন্যান্য দিক-নির্দেশনার অভাব।
হঠাৎ করে কোন ব্যবসায় বিনিয়োগের পূর্বে আগে তার মার্কেট ভ্যালু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এমন অনেক ব্যবসা আছে, যা নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য। আাবার এমন ব্যবসাও রয়েছে, যার চাহিদা কখনো শেষ হবে না। আজ তেমনই কিছু লাভজনক বিজনেস আইডিয়া বর্ণনা করবো, যা সম্পর্কে আপনি নিজেও জানেন কিন্তু করার কথা ভাবেন না। তাহলে চলুন, শুরু করি।
খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। জীবনের শুরু থেকে শেষ দিনটি প্রয়োজন মানুষের বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য গ্রহণ করতেই হবে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বয়সের কোন মানুষের জন্য নয়, শিশু থেকে বড় সবারই খাদ্য প্রয়োজন। মানুষ যতকাল বাঁচবে, ততকালই খাদ্য খাবে।
সুতরাং খাদ্যের চাহিদা মানুষের কোনদিনই শেষ হবে না। আর এ কারণেই খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায় ব্যবসায়ীরা সাধারণত ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। তাই আপনি যদি এখনো ভাবেন কি নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন, তাহলে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য দারুণ একটি আইডিয়া।
আপনি যদি ইতোমধ্যেই এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন, তবে মনোযোগ বাড়িয়ে দিন। আর যদি নতুন করে ব্যবসা করার কথা ভেবে থাকেন, তবে অন্য চিন্তা বাদ দিয়ে ফুড বিজনেসে নেমে পড়ার এখনই সময়। অল্প পুঁজিতে করার মতো বেশকিছু ফুড বিজনেস আইডিয়া রয়েছে, যা অনুসরণ করে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন।
জীবনে অসুস্থ্য হয়নি এমন মানুষ একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ মাত্রই অসুস্থ্য হয় এবং সুস্থ্য হওয়ার জন্যে ঔষধ খায়। আর মানুষ যত দিন বাঁচবে, ততদিনই জীবনের কোন না কোনও অসুস্থ্যতায় ঔষধ খাবে। তাই ফার্মাসিউটিক্যালস্ বিজসেন এমন একটি আইডিয়া, যেখানে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যারা ঔষধ উৎপাদন করেন এবং বিপনন বা ব্যবসা করেন, তারা খুব সফলতার সাথেই ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন।
আপনার যদি বেশ ভালো পুঁজি থাকে, তবে এমন একটি ফার্মাসিউটিক্যালস্ কোম্পানী খুলতে পারেন যেখানে সব রোগের ঔষধ উৎপাদন হবে। আর যদি আপনার পুঁজির পরিমাণ কম হয়ে থাকে , তবে নিজ এলাকায় ঔষধের দোকানও দিতে পারেন।
তবে ফার্মেসি ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়ের লাভ সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার পুঁজির উপর। আপনার পুঁজি যত বেশি হবে লাভ তত বেশি হবে। সাধারণত ওষুধ বিক্রি করতে পারলে ১২-১৫% পর্যন্ত লাভ থাকে। অনেক ঔষধে ৫০% পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে।
আপনার নিশ্চয়ই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিংবা নিজে ভর্তি না হলেও আত্মীয়-স্বজনকে ভর্তি করিয়েছেন। মানুষ যখন গুরুতরভাবে অসুস্থ্য হয়, তখন হাসপাতালে না গিয়ে উপায় থাকে না। আর কিছুটা হলেও টের পেয়েছেন যে হাসপাতালগুলো কি পরিমাণ ব্যবসা করছে।
যদিও স্বাস্থ্য সেবা কোন ব্যবসা না, কিন্তু স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে পরিচালিত ব্যবসায় আপনি সফল হতে পারেন। খাদ্য এবং ঔষধের মতই হেলথ্ কেয়ারও নন-ফ্লপিং বিজনেস। আর লাভের দিক থেকে ঔষধ কোম্পানীর পরেই এর অবস্থান।
হেলথ্ কেয়ার আর হাসপাতাল প্রায় কাছাকাছি শব্দ। তবে, হেলথ্ কেয়ার বললে ছোট পরিসর আর হাসপাতাল বলতে বড় পরিসর বোঝায়। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫৩৪ টি নিবন্ধনকৃত হাসপাতাল রয়েছে। যা প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করে। তাই অল্প সময়ে সফল হতে চাইলে বড় পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় নেমে পড়ুন। একা না পারলে প্রয়োজনে কয়েকজন মিলে শুরু করুন।
একটা সময় তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরক্ষরতার পরিমাণ তীব্র থাকলেও এখন তা কমেছে। এর কারণ, মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। এখন মানুষের মধ্যে স্বাক্ষরতা বৃদ্ধির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে শিক্ষা অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি বাবা-মা’ই তাদের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চান। আর সে লক্ষেই ছেলে-বেলা থেকেই ভাল স্কুলে ভর্তি করার তৎপরতায় থাকেন। সুতরাং অন্যগুলোর মধ্যে শিক্ষাও একটি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া যাতে কখনো ফ্লপ খাওয়ার ভয় নেই।
আপনার পুঁজি যদি অনেক বেশি হয়, তবে স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠানের প্রতি গুরুত্ব দিন। আর পুঁজি হলেও সমস্যা নেই। কিন্ডার গার্টেন বা ছোট-খাট কোচিং সেন্টার খুলে আপনি বেশ ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
তবে শুধু একাডেমিক শিক্ষাই না, অন্যান্য কারিগরী শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রাখাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ। শুধুমাত্র কারিগরী শিক্ষার জন্যই আপনি আলাদা কোন ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে এর আকাশচুম্বী চাহিদা রয়েছে।
বই বিক্রি বর্তমানে বেশ লাভজনক ও ক্রমবর্ধমান একটি ব্যবসা। যেটি আপনি নিজের শহর অঞ্চলে করতে পারেন এবং গ্রামেও এর চাহিদা রয়েছে। জ্ঞান পিপাষু মানুষেরা জ্ঞান অর্জন করতে শহরমুখী ভালো বই এর দোকানের দিকে ঝুঁকে আছে। বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেট গুলেতোও কিন্তু বই ভালো কেনাবেচা হয়। তাই এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনিউো একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারে।
বইয়ের দোকান শুরু করতে আপনার নিজ দেশীয় পুস্তক প্রকাশনী ও বিক্রেতার সমিতিভুক্ত লাইসেন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই স্টোর করতে হবে। আপনি কি ধরনের বই নিয়ে ব্যবসা করবেন তা অনেকাংশেই ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করবে।
এক্ষেত্রে একাডেমিক পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে গল্প, কবিতা বা উপন্যাসের বইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সাধারণত কোন স্কুল কলেজ বা যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে বইয়ের লাইব্রেরি বা দোকানগুলো গড়ে ওঠে। তাই এর জন্য উপযুক্ত একটি লোকেশন ঠিক রাখতে হবে।
অপরদিকে আপনি যদি এ ব্যবসাটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুরু করতে চান. তাহলে কোন দোকান বা লাইব্রেরির প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণ বাড়িতেই বই বিক্রির ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্রেতারা কোন বই অর্ডার করলে সেটি তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কিছু কর্মী নিয়োগ করতে হতে পারে যা ডেলিভারির কাজটি সম্পন্ন করবে।
মানুষ সারা বছর জুড়েই পোশাক কিনে থাকে। আর বিভিন্ন উপলক্ষ বা উৎসবে পোশাক কেনার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কাজেই পোশাকের ব্যবসা এমন একটি আইডিয়া যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ মানুষকে চিরকাল জামা-কাপড় পরতে হবে। আর জামা-কাপড় কিনতে ব্যবসায়ীর কাছে আসতে হবে।
তবে মানুষ শুধু এখন পোশাকের প্রতিই মনযোগি না, তার ফ্যাশনের প্রতিও বেশ আগ্রহী। তাই আপনি যদি কোন পোশাক তৈরির ব্যবসা করতে চান, তাহলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন পোশাক বাজারে আনতে হবে। মানুষ কোন ধরনের পোশাক পরতে চায়, তা জানতে হবে।
মৌসুম অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। যেমন শীতকালে যে পোশাকের চাহিদা থাকে, গরমের সময় তা থাকে না। তাই ক্রেতার চাহিদা ও ঋতু বুঝে পোশাক সংগ্রহ করতে হবে। আর তাহলেই কেবল সফল পোশাক ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
যদিও জামা-কাপড়ের ব্যবসা তুমুল প্রতিযোগীতাপূর্ণ, কিন্তু আপনার যদি এ বিষয়ে ভাল ধারণা থাকে, তবে আপনি গার্মেন্টস্ খুলতে পারেন, পাইকারি কিংবা খুচরা বিক্রির দোকান দিতে পারেন।
বিভিন্ন প্রকার পোশাকের ব্যবসার মধ্যে নিচেরগুলো বেশ জনপ্রিয়:
এখনকার সময়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অন্যতম। সারাবিশ্ব জুড়ে অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম রয়েছে এবং প্রতিনিয়তই কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সংখ্যাও বাড়ছে।
নতুনত্ব, সৃজনশীলতা, সচেতনভাবে গ্রাহকের চাহিদা ও বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলো কাজ করে থাকে। আপনি গ্র্যাজুয়েশনে অধ্যয়নরত অবস্থায় এরকমই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম জব করতে পারেন। অথবা চাইলে নিজেও গড়ে তুলতে পারেন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান।
যদিও বর্তমানে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তবে ক্যারিয়ার লাইফ উপভোগ করারও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এখানে। শুরুতে যেকোন ব্যবসাই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যা পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আলোকে আয়ত্বে আনা সম্ভব।
তবে শুরুর আগে সরাসরি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসায় না নেমে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কিছুদিন জব করে নিতে পারেন। তবেই প্রকৃত অর্থে নিজেকে চিনতে পারবেন। নিজেকে চিনতে পারার মাধ্যমেই নিজের অবস্থান আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রথমাবস্থায় অফিস না নিয়ে ঘরে বসেই অল্প পুঁজিতে আপনি শুরু করতে পারেন। শুরুতে বড় ইভেন্ট না ধরে ছোট ছোট ইভেন্ট দিয়ে শুরু করতে হবে। এতে চাপ থাকবে কম এবং বেশি বিনিয়োগও করতে হবে না। তবে অফিস নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে স্থানভেদে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
আপনি কি জানেন বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম কোনটি? অবশ্যই ই-কমার্স। বিশ্বব্যাপী মানুষ ই-কমার্স করে আয় করে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সারাবিশ্বে এত সংখ্যক মানুষ ই-কমার্স বেছে নেয়ার একটাই কারণ, এই ব্যবসা খুবই অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়।
ই-কমার্স ব্যবসার জন্য আপনার কোন দোকান ভাড়া করতে হবে না। এমনকি কোন অফিসও নিতে হবে না। আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারেন। আর এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শপ ফিচার সহজলভ্য থাকায় ওয়েবসাইটেরও প্রয়োজন হয় না।
তবে এ ব্যবসা শুরুর জন্য আপনাকে বহুল চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বেছে নিতে হবে। এমন সব পণ্য নিয়ে হাজির হতে পারেন যা গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে পারে। পাশাপাশি ই-কমার্স ব্যবসাকে আরো বেশি সাফল্য এনে দিতে পণ্যের নতুনত্বের সাথে গুণগত মানের কোন কম্প্রোমাইজ চলবে না। ক্রেতা একবার মানসম্মত পণ্য হাতে পেলে বার বার আপনার কাছ থেকেই কেনার কথা ভাববে।
ই-কমার্সের জন্য বেশ জনপ্রিয় পণ্যসমূহ:
আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষদের কখনো উপহার দিয়েছেন? যদি দিয় থাকেন তাহলে অবশ্যই দেখে থাকবেন উপহারের দাম কতটা উপরে। বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রিয় মানুষ বা সহকর্মীদের উপহার দিয়ে থাকি। সারাবিশ্ব জুড়েই উপহারের আদান প্রদান চোখে পড়ার মত।
ভালোবাসা বিনিময়ের এই প্রথাকে কেন্দ্র করে আপনি খুব চমৎকার একটি ব্যবসা সাজাতে পারেন। আর তা হল উপহারের দোকান। একটি উপহারের দোকান দেয়ার জন্য জনবহুল কোন জায়গা খুঁজে নিন। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ বা শপিংমলের আশেপাশে শুরু করতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই এটি আপনাকে সফলতা এনে দিতে পারে।
হাতে বাজেট খুব অল্প থাকলে তুলনামূলক কম দামী সব উপহার দোকানে তুলতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই উপহারের বিচিত্র্যতা আনতে হবে। মনে রাখবেন, বাচ্চাদের জন্য যে উপহার কেনা হয়, বড়দের জন্য কিন্তু তা কেনা হয় না। একইভাবে বিয়ে কিংবা পার্টির উপহারেও রয়েছে ভিন্নতা।
তাই বয়স ও উপলক্ষ অনুযায়ী বিভিন্ন দামের উপহারের স্টক করতে হবে। পাশাপাশি কিছু ইউনিক কালেকশন সংগ্রহ করে দোকানকে এমনভাবে সুসজ্জিত করে তুলতে হবে যাতে কোনো মানুষ দোকানে এসেই তার কাঙ্খিত উপহার পছন্দ করতে পারে।
ঘর সাজাতে আমাদের বিভিন্ন আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়। বিশেষ কর নতুন করে কেউ বাড়ি তৈরি করলে অনেক আসবাবপত্রের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর তখন আমাদেরকে অনেক টাকা খরচ করে ঘরের জন্য সুন্দর এবং মানানসই আসবাবপত্র কিনতে হয়।
শুধু ঘরের জন্যই না, কর্পোরেট অফিস থেকে শুরু করে দোকান বা শপিং মল সব জায়গাতেই আসবাবপত্রের দারুণ চাহিদা রয়েছে। এখনকার সময়ে অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন আউটলেট এবং সংস্থায়ও আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়।
তাই আপনি যদি সৃজনশীল ধারণা দিয়ে কোনও আসবাবপত্র ডিজাইনের ওয়ার্কশপ শুরু করেন তবে খুব সহজেই আপনার ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে পারেন। ভালো ডিজাইনের ফার্নিচার শপ বিশ্বজুড়ে একটি লাভজনক ব্যবসা। এটি অল্প বিনিয়োগের একটি ব্যবসা এবং এখানে ব্যাংক লোনও নেয়ারও সুযোগ রয়েছে।
যেকোন ব্যবসা শুরুর আগে সঠিক পরিকল্পনা অনুসরণ করা অতীব জরুরী। উপরে উল্লেখিত লাভজনক বিজনেস আইডিয়া গুলো আপনাকে সঠিক ব্যবসাটি বেছে নিতে সাহায্য করবে। বিশেষ কিছু গাইডলাইন মেনে আপনি আপনার পণ্যের প্রচারণা ও বিক্রি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করতে পারবেন।
বিশ্বজুড়ে মানুষের আয়ের প্রায় আশি ভাগই ব্যবসা থেকে আসে। অবশিষ্ট বিশ ভাগ চাকরি বা অন্যান্য উৎস থেকে উপার্জিত হয়। সুতরাং ব্যবসার চেয়ে উপার্জনের বড় কোন উৎস নেই। তবে ঝুঁকি নিয়ে এমন ব্যবসা করা যাবে না যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে। তাই উপরোক্ত ব্যবসাগুলো থেকে যে কোনটি বেছে নিন এবং আজই প্ল্যান তৈরি করা শুরু করে দিন।
Leave a Comment