আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
প্রেগন্যান্সিস্বাস্থ্যপাতা

কতদিন পর বুঝা যায় যে আপনি প্রেগন্যান্ট কি না?

প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায় এমন প্রশ্ন প্রায়ই সকল মহিলার কাছ থেকেই পাওয়া যায়। বিশেষ করে সদ্য বিবাহিত মহিলা ও কোন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যতীত সহবাস করেছে এমন মহিলাদের কাছ থেকে এই ধরনের প্রশ্নগুলো বেশী পাওয়া যায়।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরে শরীরে প্রেগন্যান্সির লক্ষণ গুলো আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে শুরু করে। প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। ৪০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রেগন্যান্সির সকল লক্ষণ ভালোভাবে প্রকাশ পায়।

মহিলাভেদে লক্ষণ গুলো ধীরে ধীরে বা দ্রুত গতিতে প্রকাশ পায়। তাই কোন মহিলা প্রেগন্যান্ট হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে বুঝতে পেরে যায় যে তিনি প্রেগন্যান্ট আবার কিছু মহিলার লক্ষণগুলো দেরিতে প্রকাশ পাওয়ায় তারা দেরিতে বুঝতে পারে যে তারা প্রেগন্যান্ট।

প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়

সহবাসের পরে শুক্রাণুু ৫ দিন পর্যন্ত জরায়ুর ভীতরে জীবিত থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে যদি শুক্রাণু ‍গুলো ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তাহলে মহিলা গর্ভধারণ করে। আর গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহ হতেই সেই মহিলার ভীতরে গর্ভধারণের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে।

যে মহিলা প্রেগন্যান্ট তিনি যদি প্রেগন্যান্সির ১ম ও ২য় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো জেনে থাকে তাহলে তিনি আন্দাজ করতে পারবেন যে তিনি প্রেগন্যান্ট। ২য় সপ্তাহের শুরুতে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় ধীরে ধীরে সে লক্ষণগুলোই ভালোভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করে।

প্রেগন্যান্সি হওয়ার ২য় সপ্তাহে বা ৩য় সপ্তাহে যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো হয় তবে ফলাফল পজিটিভ আসবে। অধিকাংশ মহিলা পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান। পিরিয়ড বন্ধের পরে যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান তাহলেও রেজাল্ট পজিটিভ আসবে।

প্রেগন্যান্সি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর উত্তর

প্রেগন্যান্সি নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে। চলুন তেমনই কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর ‍উত্তর জেনে আসি।

১. প্রেগন্যান্ট কত আগে বোঝা যায়?

প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহের শেষে দিকে প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। এভাবে দিন দিন প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলোর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। একজন ব্যক্তি যদি প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন তাহলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার ২য় কিংবা ৩য় সপ্তাহের মধ্যে প্রেগন্যান্সি আন্দাজ করতে পারবেন আর যারা বুঝতে পারে না তারা তাদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পরে বিষয়টি বুঝতে পারে।

২. প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কতদিন থেকে শুরু হয়

প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো ১ম সপ্তাহের শেষের দিক হতে প্রকাশ পেতে শুরু করে। উক্ত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশ পেতে ২১ হতে ৪০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়।

৩. প্রেগন্যান্সি টেস্ট কখন করলে ভালো হয়?

যদি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ গুলো আপনি আপনার শরীরে আন্দাজ করতে পারেন তাহলে এখনই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। তবে অধিকাংশ মহিলাই পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে থাকেন। পিরিয়ড বন্ধের আগে কিংবা পরে যখনই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার না কেন চেষ্টা করবেন সকালে টেস্ট করানোর। সকালে টেস্ট করলে সেই টেস্টে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

শেষ কথা

প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায় এই বিষয়ে উপরে বিস্তারিত বলা হলো। গর্ভধারণের ২য় সপ্তাহের মধ্যেই প্রেগন্যান্সি এর লক্ষণ গুলো দেখে প্রেগন্যান্সি বোঝা গেলেও অধিকাংশ মহিলা এই বিষয়ে না জানার কারণে তারা পিরিয়ড বন্ধের পরে টেস্ট করিয়ে থাকেন। বেশীরভাগ মহিলাই এমনটি করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button