100 English Essay For Juniors

নদী কভূ পান নাহি করে নিজ জল
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান
কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান।

নদী তার জলধারা দিয়ে বৃক্ষলতা ও প্রাণিকুলের জীবনীশক্তি সঞ্চার করে তাদের বাঁচিয়ে রাখে। বৃক্ষরাজি আপন ফল ও ছায়া প্রদান করে তাপিত জীব-জগতের শ্রান্তি অপনােদন ও ক্ষুণিবৃত্তি করে অপরের মঙ্গল সাধন করে। গাভী তার দুগ্ধ দিয়ে পরের জীবনীশক্তি প্রদান করে। কাষ্ঠখণ্ড নিজে পুড়ে অপরের রন্ধনকার্যে সহায়তা এবং মানুষের শীত নিবারণ করে। বাশি আপন সুর-লহরীর অপূর্ব দৃর্থায় অপরের চিত্তকে বিমুগ্ধ ও মােহিত করে। এরা সকলেই পরহিব্রুতে নিজেদের উৎসর্গ করে। স্বার্থপরতার কথা এদের মনে কখনাে স্থান পায় না। এ জগতে বহু মহৎ লােক আছেন যারা পারের মঙ্গলের জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেন। তাদের একমাত্র চিন্তা, কি করলে অপরের দুঃখ তিরােহিত হয়ে তার মুখে হাসি ফুটবে, কিসে সমাজ-সংসারের কল্যাণ হবে। তারা নিজেদের সুখ-শান্তির বিষয় কখনাে চিন্তা করেন না এবং নিজের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে পরের মঙ্গলের জন্য জীবনপাত করেন। পরের মঙ্গল সাধন করেই তারা সুখানুভব করে থাকেন। তাই তারা এ নশ্বর জগতে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় এবং ‘মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন’। সুতরাং পার্থিব জগতের শত সুখ-সুবিধা ও ভােগবিলাস তুচ্ছজ্ঞান করে পরহিত্ত্বতে আত্মোৎসর্গ করে জীবন ধন্য ও বরণীয় করাই মহত্ত্বের পরিচয়।

এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :

Related Post