আধুনিককালে ইংল্যান্ড বলতে একটি একক স্বাধীন দেশকে বুঝায় যার রাজধানী লন্ডন। আবার গ্রেট বৃটেন (GB) বলতে ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডকে একত্রে বুঝায় । অনুরূপভাবে যুক্তরাজ্য (United Kingdom) বলতে ইংল্যান্ড, ওয়েল্স, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডকে একত্রে বুঝায়। যাহােক, ব্রিটেন একটি পানি বেষ্টিত দেশ যা সমুদ্রের বধূ নামে পরিচিত। এ দেশে প্রথমে বসতি স্থাপন করে Celtic Britons নামক এক জাতি যারা বর্তমানে Brittany নামে পরিচিত। এরা ফ্রান্স থেকে এসে এ দেশে বসতি স্থাপন করে।
তারা এক শক্তিশালী সাহিত্য ধারা সৃষ্টি করে। তাদের সাহিত্য কর্মের মধ্যে Arthurian Legend (উপাখ্যান) উল্লেখযােগ্য যা তারা ফ্রান্স কিংবা ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে রচনা করেছিল। মূল ব্রিটিশ ভাষা বা ইংরেজি ভাষার সাথে আজকের ওয়েলশ (Welsh) ভাষার যথেষ্ট মিল রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন ভাষা বিশেষত ল্যাটিন ও রােমান ভাষা থেকে শব্দ ধার করে আধুনিক ইংরেজি ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে।
প্রথম শতাব্দীতে রােমানরা ব্রিটেন আক্রমণ করে এবং এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় রােমানরা সাহিত্য সাধনার চেয়ে দেশ শাসনেই বেশি মনােযােগ দেয়। পঞ্চম শতকে তারা ইংল্যান্ড থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। রােমানদের পরে কতিপয় জার্মান উপজাতীয় গােষ্ঠী যেমন: The Angles, The Saxons, and the Jutes ইংল্যান্ড আক্রমণ ও বিজয় করে। তারা স্থানীয় ব্রাইটনদের (Britons) ভূমি কেড়ে নেয় এবং তাদেরকে দূরবর্তী দ্বীপ বিশেষ করে ওয়েসের পার্বত্য এলাকায় তাড়িয়ে দেয় ।
Old English Literature বলতে এসব জার্মান উপজাতীয় গােষ্ঠী কর্তৃক তাদের নিজস্ব ভাষায় রচিত সাহিত্যকেই বােঝায়। তাদের সাহিত্য স্থানীয় ব্রাইটন (Briton) কর্তৃক রচিত সাহিত্যের মতই ছিল মৌখিক যেগুলাে রচিত হয়েছিল চারণকবি কর্তৃক গান বা গল্পের ন্যায়। আর এ সাহিত্যধারা বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে নির্ভুলভাবে বিস্ময়কর স্মৃতিশক্তির মাধ্যমে । অনেক পরে এগুলাের লিখিত রূপ দেওয়া হয়েছিল ।
ইতােপূর্বে রােমানরা ব্রিটেন ত্যাগ করার পূর্বে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল বিশেষ করে তাদের সম্রাট কনস্টান্টিন যখন দীক্ষা লাভ করেন। তারা সমগ্র রাজ্যের প্রজাসাধারণকেও খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। ৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ইংল্যান্ডে পুনরায় খ্রিস্টান ধর্ম চালু করা হয়। এক্ষেত্রে দুটি মিশনারি দল নিযুক্ত করা হয়। আইরিশ মিশনারি দলকে উত্তর ইংল্যান্ডে এবং রােমান ক্যাথােলিক মিশনারি দলকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে প্রেরণ করা হয়। খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের অনেকেই সাহিত্যানুরাগী ছিল।
যদিও ধর্মপ্রচারের ভাষা ছিল ল্যাটিন, এসব সন্ন্যাসীদের কেউ কেউ স্থানীয় ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন। তাঁদের সাহিত্যকর্মে ধর্মের প্রভাব ছিল ব্যাপক। তথাপি কিছু ধর্মের প্রভাব বর্জিত সাহিত্যও রচিত হয়েছিল । উদাহরণস্বরূপ Beowulf ধর্মের প্রভাবমুক্ত সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন। অন্যান্য সাহিত্যিকদের মধ্যে খ্রিস্টান যাজক ও বিচারকদের কথা সবিশেষ উল্লেখযােগ্য । The Wanderer নামক লেখায় শুরু এবং শেষে খ্রিস্টান ধর্মের কিছুটা প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সুতরাং, প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই ইংল্যান্ড ছিল বহুসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; বিশেষত ফ্রান্সের ব্রেটন জাতির সাথে যােগাযােগ, রােমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, জার্মান উপজাতীয় গােষ্ঠীর সংস্পর্শে আসা এবং নরম্যান ফ্রেঞ্চদের সাথে যােগাযােগের মাধ্যমে ইংল্যান্ড সাহিত্য ও সংস্কৃতির ধারায় এক আন্তর্জাতিক উচ্চতায় আসীন হয় ।
In modern times, England means a single independent country with London as its capital. Again, Great Britain (GB) means England, Wales, and Scotland together. Similarly, the United Kingdom means England, Wales, Scotland, and Northern Ireland together. However, Britain is a landlocked country known as the Bride of the Sea. The country was first settled by the Celtic Britons, now known as the Brittany. They came from France and settled in this country.
They created a strong literary genre. Notable among their literary works is the Arthurian Legend, which they wrote while in France or England. There are considerable similarities between the original British language or the English language and today’s Welsh language. Over time, modern English has been enriched by borrowing words from different languages, especially Latin and Roman.
In the first century, the Romans invaded Britain and took complete control of it. At that time, the Romans paid more attention to the governance of the country than to the pursuit of literature. In the fifth century, they withdrew their troops from England. After the Romans, several German tribal groups, such as The Angles, The Saxons, and the Jutes, invaded and conquered England. They took over the lands of the local Britons and drove them away to distant islands, especially the highlands of Wes.
Old English Literature refers to literature written in their own language by these German tribal groups. Their literature was similar to the literature written by the local Briton, which was oral, like the songs or stories written by the charan poets. And this literary genre continues through the lineage with perfect memory. These were given in written form much later.
Earlier, the Romans were baptized into Christianity before leaving Britain, especially when their emperor Constantine was baptized. They also tried to convert the people of the whole kingdom to Christianity. Christianity was reintroduced in England around 600 AD. In this case, two missionary teams were appointed. The Irish missionary team was sent to the north of England and the Roman Catholic missionary team to the south of England. Many of the Christian monks were literary lovers.
Although the language of preaching was Latin, some of these monks wrote in the local language. Religion had a great influence on their literary work. However, some non-religious literature was also written. Beowulf, for example, is one of the hallmarks of non-religious literature. Among other writers, Christian priests and judges are particularly noteworthy. The influence of Christianity can be seen at the beginning and end of The Wanderer.
Thus, from prehistoric times England has been the bearer and carrier of multiculturalism; In particular, England rose to international prominence in terms of literature and culture through its association with the Breton people of France, its incorporation into the Roman Empire, its exposure to the German tribal community, and its association with the Norman French.
Recent Comments