আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

VOIP কী? ন্যানোটেকনোলজি বলতে কী বোঝায়?

ধান গবেষক ড. আবেদ চারটি নতুন প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেন। গবেষকের কক্ষে প্রবেশের জন্য হাতের আঙুলের ছাপের প্রয়োজন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কক্ষে চোখের ইশারার প্রয়োজন হয়।

ক. VOIP কী?
খ. ন্যানোটেকনোলজি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে ড. আবেদের নতুন প্রজাতির ধান উদ্ভাবনের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনটি অধিক কার্যকরী বিশ্লেষণ কর।

ক. VOIP হচ্ছে Voice Over Internet Protocol VOIP মূলত এক প্রকার টেলিফোন সংযোগ যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ডেটা প্রেরণের জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার হয়। ইয়াহু, গুগলটক, স্কাইপি ইত্যাদি হচ্ছে VOIP-এর উদাহরণ ।

খ. ন্যানোটেকনোলজি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান। ন্যানোটেকনোলজিতে ন্যানোমিটার স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুণভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়।

গ. উদ্দীপকে ড. আবেদ গবেষণায় নতুন প্রজাতির ধান উৎপাদনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে ডি.এন.এ এর প্রোটিনের পুনরায় সমন্বয় করে নতুন বৈশিষ্ট্যের জীব তৈরীর প্রক্রিয়া। বর্তমানে DNA প্রযুক্তির কারণে কোনো বস্তুর অন্তর্গত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলে নতুন উন্নত জাতের বস্তু সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

নতুন উদ্ভিদ, খাদ্য সৃষ্টির ফলে পৃথিবীতে খাদ্য ঘটতি সংকুচিত করা হচ্ছে এবং অল্প খাদ্যে অধিক পুষ্টি গুণাগুণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত ফলনশীল জাতের চারা উৎপাদন করে যাচ্ছে এবং একজন কৃষক সেই চারা চাষ করে পূর্বের তুলনায় অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারছে।

আরো পড়ুন :

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির অন্তর্গত ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি। প্রত্যেক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ অদ্বিতীয় বিধায় দরজায় বহুল ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে, যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে রক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয় ।

গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কক্ষে প্রবেশের সময় ব্যবহৃত প্রযুক্তি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির অন্তর্গত রেটিনা স্ক্যান প্রযুক্তি। আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মনিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো জায়গায় অ্যাকাউন্ট খোলার সময় একটি ইমেজ সংরক্ষণ করা হয়।

পরবর্তীতে ঐ জায়গায় কোনো সময় প্রবেশ করতে চাইলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করার কাজটাও হয়ে যায়। বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও কম ব্যয়বহুল। বর্তমানে ব্যাংক, পুলিশের কাজকর্ম এবং বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণেও এ প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button