করােনা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির আয়ােজন করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্যাপক সমালােচনার মুখে পড়েন এবং এ জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এ ছাড়া বরিস জনসন প্রথম কোনাে ব্রিটিশ নেতা, যাঁকে আইন ভাঙার জন্য ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছে।
‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনা পিছু ছাড়েনি বরিসের। এ জন্য গত ৬ জুন ২০২২ দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভােটের মুখে পড়ে বরিসের নেতৃত্ব। গােপন ভােটে কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৯ এমপির মধ্যে ২১১ জনের ভােট পান বরিস জনসন।
অনাস্থা ভােটে জিতলেও এই ফলাফল তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে খর্ব করেছে। অর্থাৎ দলের ১৪৮ এমপির সমর্থন তিনি হারিয়েছেন। বরিস জনসন আগামী দিনে আরও চাপে পড়বেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
তাঁদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউরােপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট-পরবর্তী মতানৈক্য ও দেশে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি সরকারের ওপর ধারাবাহিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।