![100 English Essay For Juniors](https://bcspreparation.net/wp-content/uploads/2022/09/Bcs-Preparation-1-780x470.png)
গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়ােজন
বিদ্যা ও ধন, এ দুটো মানুষের জীবনে খুবই প্রয়ােজন। এ দুটোকে কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করে অর্জন করতে হয়। প্রয়ােজনের মুহূর্তে এ দুটো কাজে না লাগলে বিদ্যা ও ধন দুটোই অর্থহীন বােঝার মতাে মনে হয়। বিদ্যা ও জ্ঞান মানুষ পরিশ্রম করে আত্মস্থ করে। বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনে সেই বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হয়। এটাই প্রত্যাশিত। অনুরূপভাবে ধনসম্পত্তি মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে অর্জন করে এ জন্য যে, তা প্রয়ােজনের সময় কাজে লাগিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে, নিজেকে বিপদমুক্ত করতে পারবে। কিন্তু প্রয়ােজনের সময় সেই ধন যদি অন্যের হাতে থাকে, নিজের কাজে লাগাতে না পারে, তখন সেই ধনের কোনাে মূল্য থাকে না। মুখস্থ বা গ্রন্থগত বিদ্যাও ঠিক সেরকম, বাস্তব জীবনে মুখস্থ বা গ্রন্থগত বিদ্যাও কোনাে কাজে আসে না। বিদ্যা ও ধনের সার্থকতা নির্ভর করে মানুষের প্রয়ােজন মেটানাের ওপর। প্রয়ােজনের মুহূর্তে কাজে না লাগলে এ দুটোরই কোনাে মূল্য নেই। তাই বিদ্যা ও ধনকে আয়ত্তাধীন রেখে সেগুলির সদ্ব্যবহার করতে হবে।
এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :
- অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
- অসি অপেক্ষা মসী অধিকতর শক্তিমান
- অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- অর্থই অনর্থের মূল
- অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়