জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতি দশকে একবার পরিচালিত হয়। এটি সামগ্রিক জনসংখ্যা, এর গঠন, কর্মী সংখ্যা, ঘনত্ব, আবাসন, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া জনশুমারি অন্যান্য আর্থ সামাজিক সূচকগুলাের তথ্য সরবরাহ করে।
দেশে এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জনশুমারি। আদমশুমারি এখন জনশুমারি। একটি দেশে সাধারণত দশ বছর পর পর জনশুমারি হয়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা’ এর নাম পরিবর্তন করে জনশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়। ১০ বছরের ধারাবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে বাংলাদেশ
- বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি
- দেশের প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতাল
- কৃষকের সুরক্ষায় কিষানি ড্রোন
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা
- বাংলাদেশের নারী শিক্ষায় মালালা ফান্ড
- জাতীয় কৃষি কাউন্সিল গঠন
- ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু
- বিশ্বে প্রথম দ্বৈত টিকার অনুমােদন
- যুক্তরাজ্যে নতুন বাণিজ্যনীতি
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা। ২৯ অক্টোবর ২০১৯ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমােদন দেওয়া হয়। ২-৮ জানুয়ারি ২০২১ দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা।
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করােনা মহামারির কারণে ১০ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৫-৩১ অক্টোবর ২০১১। অবশেষে ১৪ নভেম্বর ২০২১ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জাতীয় সংসদে জানান, সরকার ২৪-৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে।
২৩ ডিসেম্বরকে শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৪-৩০ ডিসেম্বর দেশের সব মানুষকেই গণনার আওতায় আনা হবে।