জনশুমারি : জনসংখ্যা ও গৃহগণনার এবারের প্রক্রিয়াকে ‘ডিজিটাল জনশুমারি’ কেন বলা হচ্ছে
সারা দেশে ১৫ থেকে ২৮ জুন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা এবং প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি। এর আগে যে আদমশুমারি বা জনশুমারিগুলাে করা হয়েছে, সেগুলােতে কাগজে-কলমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার খুব বেশি ছিল না।
কিন্তু এবার পুরাে তথ্য সংগ্রহের কাজটি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে করা হয়। মাঠ থেকে তথ্য সংগ্রহকারীরা আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে কাজটি করেন। শুধু তথ্য সংগ্রহের কাজটিতে মানুষের সংশ্লিষ্টতা ছিল। কিন্তু সেই তথ্য প্রক্রিয়া করা, যাচাই-বাছাই, পর্যালােচনার সব কাজ ডিজিটাল অবকাঠামাে, সফটওয়্যার ব্যবহার করে করা হয়।
মাঠপর্যায়ে সাড়ে তিন লাখের বেশি তথ্য সংগ্রহকারী ডিজিটাল ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন। এরপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেটি মূল সার্ভারে জমা হয়েছে। এভাবে করার মাধ্যমে একই ব্যক্তি বা বাড়ি দুবার গণনা হয়নি।
এসব তথ্য বিশ্লেষণের জন্য সফটওয়্যারে তিন শতাধিক নির্দেশনা দিয়ে রাখে বিবিএস। ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) ও জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) কাজটি করা হয়েছে।
মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য সংরক্ষণের জন্য গাজীপুরে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানির সার্ভার ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের সার্ভারে এসব তথ্য হালনাগাদ হয়। তথ্য সম্পূর্ণ এনক্রিপ্ট অবস্থায় থাকায় প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য শতভাগ নিরাপদ থাকছে।