কোকোডা ট্রাইল
পাপুয়া নিউগিনির দক্ষিণ উপকূলের কোকোডা ট্রাইলের পাশে ১০০ কিলােমিটার (৬০ মিটার) পর্যন্ত এলাকা গরম, স্যাতসেঁতে পরিবেশ এবং ট্রাইল। ভয়ানক বিপদে পরিপূর্ণ। সবুজে ঘেরা এ এলাকা চিকিৎসার জন্য প্রয়ােজনীয় হরেক রকম গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ। কোকোড়া রেইন ফরেস্টে আছে পশুপাখি, বন্যপ্রাণী, পরিষ্কার পানি এবং স্থানীয় জনসাধারণ যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম থেকে বসবাস করছেন। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জনপ্রিয় স্থান। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সৈন্যরা অবস্থান করেছিল।
প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে আসেন। কোকোডা ট্রাইলে বিপজ্জনক কিছু পরিখা রয়েছে যেখানে পা রাখলেই মৃত্যু নিশ্চিত। বনের মধ্যে হাঁটার ব্যবস্থা, পাহাড়ে আরােহণের ব্যবস্থা, এমনকি নদীতেও সাতারের ব্যবস্থা রয়েছে। কোকোডা ট্রাইল দেখতে কয়েক মাইল লম্বা মনে হয়। আশপাশে পড়ে থাকা। যুদ্ধের সরঞ্জামগুলাে দেখার জন্য অনেক পর্যটকই আগ্রহভরে এখানে আসেন।
আরো পড়ুন
- ক্লিফ অব মােহর সম্পর্কিত তথ্য
- বিশ্বের ৯টি আশ্চর্যজনক ঘটনা
- পুলিৎজার পুরস্কার ২০২২
- জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২
- রিজার্ভ চুরির মামলায় দুই প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি
- ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি
- ডায়াবেটিসের নতুন কারণ
- দারকিনা মাছের প্রজনন উদ্ভাবন
- পদ্মার পাড়ে শেখ রাসেল সেনানিবাস
- বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগাে মিউজিয়াম
অনেক সময় ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকরা মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। এখানকার সবচেয়ে বড় বিপদ হলাে পরিখায় পড়ে অনেকেই হাড় ভাঙেন, অনেকের পা ভাঙে আবার অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এখানে একটি পর্যটক দল বেড়াতে এসে স্থানীয় দস্যুদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন। এত প্রতিবন্ধকতার পরও জায়গাটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে চলেছে।
ব্ল্যাক ক্যাট কিন্তু বিড়াল নয়!
ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSC) বা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বাহিনী ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বেসামরিক সন্ত্রাসবাদ বিরােধী সংগঠন। NSG কমান্ডােদের ব্ল্যাক ক্যাট বলা হয়। এ সংস্থাটি কম্বাইন্ড কাউন্টার টেররিজম এলিট ফোর্স। যেখানে সব বাহিনী থেকেই বাছাই করে লােক নেওয়া হয়। এটি ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিসের পাশাপাশি জার্মানির জিএসজি ৯-এর অনুকরণে গঠিত।
পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে আক্রমণ এবং ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরে ১৫ অক্টোবর ১৯৮৪ অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা থেকে রাজ্যগুলিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে। এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আইন পাশ করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ বাহিনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এটির সদর দপ্তর দিল্লিতে হলেও আঞ্চলিক ঘাঁটি রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানী শহরগুলােয়। বিশেষ ধরনের কালাে পােশাক আর মানকি টুপির মতাে এক প্রকার টুপি পরার কারণে অনেকটা বিড়ালের মতাে মনে হয় তাই এ বাহিনীকে ব্ল্যাক ক্যাট বলা হয় ।
অস্ত্রোপচার-চিকিৎসার নতুন মাত্রা
অস্ত্রোপচার একটি প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে সুনির্ধারিত কার্যনির্দেশিকা এবং শল্য প্রয়ােগ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে রােগীর শারীরিক অসুস্থতার কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়। এটি শল্যচিকিৎসা নামেও পরিচিত। সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ব্যবহার করা হয় তা হলাে— রােগ বা আঘাতের চিকিৎসা, শারীরিক সচলতা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি। অথবা অবাঞ্ছিত শারীরিক ক্ষত সারিয়ে তােলা ইত্যাদি।
শল্য চিকিৎসা মানে অস্ত্রোপচার বা অপারেশন। প্রাচীন ভারতে সার্জারিকে বলা হতাে। শল্যতন্ত্র । শল্য বলতে বােঝাতাে অস্ত্র বা যন্ত্র। আর তন্ত্র অর্থ প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি। আবু আলি হুসাইন বিন আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলী ইবনে সিনাকে ইসলামি স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। ধারণা করা হয় তিনি ৪০টি চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন। তার গ্রন্থসমূহেই প্রথম অস্ত্রোপচারের ধারণা পাওয়া যায়।