আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
জানা অজানা

জানা অজানা বিশ্বের কিছু অবাক করা তথ্য

জানা অজানা বিশ্বের কিছু অবাক করা তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। আপনারা যারা অজানা বিষয়কে জানতে ভালোবাসেন তাদের জন্য লেখাটি সহায়ক হবে। তো চলুন অজানা তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাক।

হাজ্জ ডােম

হাল্ফ ডােম পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকর একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি মূলত একটি পাহাড়ী উপত্যকা । পর্যটকরা এখানে পাহাড় বেয়ে। ওঠাকে সবচেয়ে বেশি উপভােগ করেন। হাল্ক ডােম পাহাড়টির উচ্চতা এতটাই বেশি যে এখানে আসা প্রত্যেকের পাহাড়ে চড়তেই।

সারাদিন কেটে যায়। ১৫০০ মিটার (প্রায় ৫০০০ ফিট) উচ্চতা বিশিষ্ট। এই হাঙ্ক ডােমে খাড়া পাহাড় বইতে হয়। পাহাড়টির শেষ ১২০ মিটার (প্রায় ৪০০ ফিট) চড়ার জন্য রয়েছে মেটাল ক্যাবল। অনেক বেশি। উচ্চতা ও মেঘলা পরিবেশ হওয়ার কারণে অনেক আরােহণকারী অনুৎসাহী হয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন : Guinness world records 2021 গিনেস বিশ্ব রেকর্ড ২০২১

কারণ ক্যাবলটি তখন পিচ্ছিল। হয়ে যায়। এতে অনেকেই নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। যেখানে এ পর্যন্ত মােট ৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে। মেটাল ক্যাবলের নিচে মৃত্যুপুরী ভার্নাল জলপ্রপাত। এ পাহাড়ের অবস্থান এমন। স্থানে যেখানে আলাের ব্যবস্থা নেই। এখনকার ৬০ ভাগ উদ্ধারকর্মীই বিপদগ্রস্ত আরােহীদের উদ্ধারে ব্যস্ত থাকেন।

শীতের তীব্রতা রােধে কোট আবিষ্কার

কোট বলতে বােঝায় জামার ওর পরা লম্বা হাতাওয়ালা ও বুক খােলা জামা বিশেষ। কোটের সামনের অংশ খােলা এবং চেইন বা বােতামের সাহায্যে বন্ধ করা যায়, আবার অনেক ক্ষেত্রে সংযুক্ত বেল্টের মাধ্যমেও আটকে রাখার ব্যবস্থা থাকে। কোট ইংরেজি শব্দ। যা প্রাচীন ফরাসি তারপর ল্যাটিন কোটাস থেকে এসেছে।

কোটের একটি প্রাথমিক ব্যবহার হলাে এটি একটি পােশাক যা হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখে। কোট মূলত পরিধান শুরু হয় রেনেসার শুরুতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য। ১৮ শতকের ঢিলা জামা ও কোটের স্থান দখল করে লম্বা কোট। যা ওভার কোট নামে পরিচিত। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কোটের মতােই প্রায় অভিন্ন ডিজাইনের। জ্যাকেটের প্রচলন ঘটে। ১৯ শতকের গােড়ার দিকে কোটকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। কোট ও ওভারকোট ।

ব্রিটিশ ও আমেরিকানরা খেলার সময় কোট পরিধান করত। বিশেষ করে ১৯৬০ সালের পরে এ ধরনের পােশাকের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। খাবার টেবিলে খেতে বসে কিংবা খেলাতে অংশ নিতে এই কোটের ব্যাপক ব্যবহার। শুরু হয়। দেশ ও জাতিভেদে মানুষ নানারকম পােশাক পরে থাকে। তেমনি বর্তমানে। শীতের তীব্রতা রােধে এ দেশের মানুষ কোট পরিধান করে থাকে।

ধর্ম সাগর কিন্তু সাগর নয়

কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিশাল আকারের দিঘিটিই হলাে ধর্মসাগর দিঘি। রাজা ধর্মপালের নামানুসারে এই দিঘির নাম হয়েছে ধর্মসাগর দিঘি। কুমিল্লা শহরের। হৎপিণ্ডে থাকা এ দিঘিটি ত্রিপুরার মহারাজা ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে খনন করেন।

বাংলায় তখন ছিল দুর্ভিক্ষ। রাজা দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সাহায্যের জন্য এই দিঘিটি। খনন করেন। এই অঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য। সাগর নাম দিয়ে দেশে যে কয়টি দিঘি রয়েছে ধর্মসাগর তার মধ্যে অন্যতম। দর্শনাথীর পদচারনায় ধীরে ধীরে মুখরিত হতে থাকে ধর্মসাগর পাড়। যেন প্রতিদিনই বসে মিলন মেলা।

আরো পড়ুন : জীবাশ্ম জ্বালানি মুক্ত পৃথিবী

ধর্মসাগরের উত্তর কোণে অবস্থিত শিশুপার্কে বসে সাগরের দৃশ্য। উপভােগ করা যায়। দিঘিপাড়ের সবুজ বনানী ধর্মসাগরকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। থরে থরে সাজানাে বড় বড় গাছের সারি। তার মাঝে সিমেন্টে বাধানাে বেঞ্চি। এক কথায় অপূর্ব। বিকেল বেলাটা যারা ঘুরতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। আসলে ধর্ম সাগর বলতে দিঘিকে বােঝায় যা মূলত কোনাে সাগর নয়।

জ্বর হলে শরীর গরম হয় কেন?

জ্বর হলে আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক জীবাণুর অনুপ্রবেশ ঘটে। দেহে এদের অস্তিত্ব টের পাওয়া মাত্রই আমাদের ডিফেন্স সিস্টেম এক্টিভ হয়ে ওঠে। মস্তিষ্কের হাইপােথ্যালামাস আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যখনই দেহে ক্ষতিকারক জীবাণু ঢুকে তখনি হাইপােথ্যালামাস দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জীবাণুগুলােকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, যা আমাদের স্বাভাবিক তাপমাত্রাকে ৯৬-৯৮°F থেকে ১০২-১০৩°F নিয়ে যায়। তাই আমাদের শরীর গরম হয়।

জ্বর হলে শরীর কাপে কেন?

জ্বর হলে আমাদের শীত অনুভব হয়। অতিরিক্ত শীতে আমাদের দেহের তাপমাত্রা যাতে না কমে যায় তাই কাঁপুনি আসে। এই কাপুনি আমাদের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্রুত পর্যায়ক্রমে শিথিল হওয়ার কারণে হয়। একে ইংরেজিতে shivering বলা হয়।

জ্বর হলে আমাদের শীত লাগে কেন?

যখন জর হয় তখন শরীরের – তাপমাত্রা বেড়ে যায় কিন্তু আমাদের চারপাশের তাপমাত্রা শরীরের তুলনায় অনেক কম থাকে। তাই আমাদের শরীর থেকে পরিবেশ তাপ গ্রহণ করে। ফলে আমাদের শীত অনুভব হয়।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button