ইংরেজি Wolf Warrior Diplomacy শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতি। নতুন এ কূটনীতির প্রবর্তক চীন। চীনের নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতি প্রথম শুরু করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
সাইবার, হামলা, দক্ষিণ চীন সাগর, উইঘুরদের দমন পীড়ন, হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ন থেকে শুরু করে করােনা মহামারির জন্য চীনকে দায়ী করায় বিষয়গুলাে নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপরই চীন সরকার নতুন ধরনের কূটনীতি চালু করে। এর মূল কথা চীনের ওপর পশ্চিমা কূটনীতিকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে আগ্রাসী জবাব।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- কর্মসংস্থানে স্টার্টআপের ভূমিকা
- দারিদ্র্য বিমােচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন : শেখ হসিনা মডেল
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)
- এলসি (ঋণপত্র)
- বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির উৎস
- এসএমই খাতে গুচ্ছভিত্তিক অর্থায়ন করবে ব্যাংক
- বাংলা বন্ড
- ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
- স্মার্ট বাংলাদেশ
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই কনিষ্ঠদের প্রেরণা দিতে এক বৈঠকে তাদের নেকড়ে যােদ্ধা হওয়ার আহ্বান জানান। চীনা জাতীয়তাবাদে উৎসাহিত করতে কূটনীতিকদের জন্য এ পরিভাষাটি একটি চীনা চলচ্চিত্র উলফ ওরিয়র-২ থেকে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কূটনীতিকে সংঘাতমূলক ও আগ্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০২০ সাল থেকেই নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতি চালিয়ে আসছে চীন। যা অনেকটা আগ্রাসী ও রুক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি। চীনের ভাষ্যমতে, পশ্চিমাদের প্রতিকূলতা মােকাবিলায় আত্মরক্ষা হিসেবে তারা এ পথ বেছে নেয়।
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং আরাে কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ; ক্রমবর্ধমান কঠোর ও আগ্রাসী সুর নিয়েছে। চীনা কূটনীতিকরাটুইটার ও ফেসবুকে বেশ আক্রমণাত্মকভাবে নিজেদের চিন্তাচেতনার প্রকাশ করেন, যা নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতির প্রতিফলন।