আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
প্রবন্ধ আলোচনা

পরিবেশ সংরক্ষণে কনভেনশন ও প্রটোকল

প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোম আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতাে উদযাপিত হয় দিবসটি। এ প্রেক্ষাপটে থাকছে পরিবেশ সংরক্ষণের নানা তথ্য।

পরিবেশ

পরিবেশের ইংরেজি প্রতিশব্দ Environment। এ শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি Envionner থেকে, যার অর্থ বেষ্টন করা বা ঘেরা। পণ্ডিত ব্যক্তিগণ এ শব্দ থেকেই আমাদের অর্থাৎ মানুষের। চারপাশের সব কিছুকে পরিবেশ বলে আখ্যায়িত করেন।

কনভেনশন ও প্রটোকল

ভিয়েনা কনভেশন :

ওজোন স্তরের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে ঐতিহাসিক ভিয়েনা কনভেনশন ২২ মার্চ ১৯৮৫ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গৃহীত হয়, যা কার্যকর হয় ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮। বাংলাদেশ ২ আগস্ট ১৯৯০ এটি সমর্থন করে।

বাসেল কনভেনশন :

বিপজ্জনক বর্জ্য দেশের সীমান্তের বাইরে নেওয়া এবং এদের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিই হলাে ‘বাসেল’ কনভেনশন। ২২ মার্চ ১৯৮৯ সুইজারল্যান্ডের বাসেলে এ কনভেনশনটি গৃহীত হয়, যা কার্যকর হয় ৫ মে ১৯৯২। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কনভেনশনটি সংশােধিত হয়। এ কনভেনশন অনুসারী রাষ্ট্রসমূহ ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বাসেলে বর্জ্যপদার্থ সীমান্তের বাইরে নেওয়া সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব গ্রহণ ও এ সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান বিষয়ক একটি প্রটোকল অনুমােদন করে। বাংলাদেশ ১ এপ্রিল ১৯৯৩ বাসেল কনভেনশন সমর্থন করে।

জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন :

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, এর উপাদানসমূহের টেকসই ব্যবহার বৃদ্ধি এবং জেনেটিক রিসাের্স ব্যবহারে সবাই যাতে সমভাবে উপকৃত হতে পারে, সে ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যে গঠিত হয় জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন (CBD)। কনভেনশনের আওতাধীন রাষ্ট্রসমূহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে এবং জীবপ্রযুক্তিগত সম্পদের সুফল, ন্যায্য ও সুষম বণ্টনে অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) এর উদ্যোক্তা। এটি। ৫ জুন ১৯৯২ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে স্বাক্ষরিত হয়, যা কার্যকর হয় ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৩। বাংলাদেশ ৫ জুন ১৯৯২ স্বাক্ষর করে এবং অনুমােদন করে ৩ মে ১৯৯৪।

কার্টাগেনা প্রটোকল :

জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্বারা পরিমার্জিত প্রাণের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত ‘কার্টাগেনা প্রটোকল’ ২৯ জানুয়ারি ২০০০ কানাডার মন্ট্রিলে গৃহীত হয়, যা কার্যকর হয় ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩। বাংলাদেশ ২৪ মে ২০০০ এটি স্বাক্ষর করে এবং অনুমােদন করে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৪।

UNFCCC:

বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি মােকাবিলায় ৯ মে ১৯৯২ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ রূপরেখা কনভেনশন (UNFCCC) তৈরি করা হয় এবং ১৯৯২ সালে ধরিত্রী সম্মেলনে তা স্বাক্ষর করা হয়। ২১ মার্চ ১৯৯৪ তা কার্যকর হয়। বাংলাদেশ ৯ জুন ১৯৯২ এ কনভেনশন স্বাক্ষর করে এবং ১৫ এপ্রিল ১৯৯৪ অনুমােদন করে।

কিয়ােটো প্রটোকল :

৯ মে ১৯৯২ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে UNFCCC কনভেনশনের সময় ভূমণ্ডলের তাপ বৃদ্ধি ও আবহাওয়ামণ্ডলের পরিবর্তন রােধে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ UNFCCC অনুসমর্থনকারী দেশসমূহ জাপানের কিয়ােটো (দেশটির প্রাচীন রাজধানী) নগরীতে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন একটি প্রটোকল। গ্রহণে সম্মত হয়। এর আওতায় ১৯৯০ সালের ভূমণ্ডলের স্তরকে ভিত্তিরূপে ধরে উন্নত দেশগুলাে তাদের যৌথ নিঃসরণ ৬টি গ্রিনহাউস গ্যাস ২০০৮-২০১২ সালের মধ্যে ৫.২ শতাংশ হাস করবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ কিয়ােটো। প্রটোকল কার্যকর হয়। বাংলাদেশ ২২ অক্টোবর ২০০১ এ প্রটোকল সমর্থন করে। ১৭ নভেম্বর ২০০৬ কেনিয়ার নাইরােবিতে কিয়ােটো প্রটোকল সংশােধিত হয়।

মন্ট্রিল প্রটোকল :

১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ বায়ুমণ্ডলের। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত ওজোন স্তরকে রক্ষার জন্য। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ও বিজ্ঞানীদের সময়ােচিত তৎপরতায় কানাডার মন্ট্রিল শহরে ওজোন ক্ষয়কারী বস্তু সামগ্রী ফেজ আউট করার লক্ষ্যে মন্ট্রিল প্রটোকল’ (Montreal Protocol) স্বাক্ষরিত হয়। ১ জানুয়ারি ১৯৮৯ তা কার্যকর হয়। বাংলাদেশ ২ আগস্ট ১৯৯০ মন্ট্রিল প্রটোকল সমর্থন করে। এ পর্যন্ত প্রটোকলটি পাঁচবার সংশােধন করা হয়।

পরিবেশ নিয়ে জাতিসংঘ সম্মেলন
সম্মেলনের নাম অফিসিয়াল নাম সময়কাল স্থান
জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন ৫-১৬ জুন ১৯৭২ স্টকহােম, সুইডেন
ধরিত্রী বা রিও সম্মেলন জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন ৩-১৪ জুন ১৯৯২ রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল
কপ-১ জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ২৮ মার্চ-৭ এপ্রিল ১৯৯৫ বার্লিন, জার্মানি
কপ-২৬ জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ৩১ অক্টোবর-১৩ নভেম্বর ২০২১ গ্লাসগাে, স্কটল্যান্ড

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button