প্রসাধনী বা Cosmetic এমন একটি পণ্য যা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে এবং শারীরিক চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। যেমন চুল, ত্বক, নখ এবং মুখের জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। প্রসাধনীর ব্যবহার বা রূপচর্চার ইতিহাস বলতে গেলে অগ্রপথিক হিসেবে ৪ নারীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য মিসরের ক্লিওপেট্রা, বাইজানটিয়ার থিওডােরা, ফ্রান্সের মাদাম পপিদু এবং ভারতের সম্রাজ্ঞী ; নূর জাহান।
ক্লিওপেট্রা প্রসাধনী শিল্পকে পুরােহিতদের হাত থেকে সরিয়ে এনে একে চিকিৎসাবিদ্যার সাথে সংযােজন করেন। বর্তমানের বহুল প্রচলিত ফেস মাস্ক এর প্রবর্তক রানি ক্লিওপেট্রা। গ্রিসে মেয়েরা শরীরে রং এর প্রলেপ ব্যবহার করত। ভূমধ্যসাগরীয় এক ধরনের লতা-গুলা থেকে অ্যালকানেট নামে লাল রং বের করে তারা মুখে লাগাতাে।
আর শরীর উজ্জ্বল দেখানাের জন্য সাদা রং ব্যবহার করত। এতেই প্রতীয়মান হয়, এসব থেকেই এসেছে বর্তমান রুজ ও ফেস পাউডারের প্রচলন। গাই-দ্য শৌলক (১৩০০-১৩৬৮ খ্রিষ্টাব্দ) চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর প্রামাণ্য গ্রন্থ ম্যানডেভিল রচনা করেন তার চব্বিশ পরিচ্ছেদেই রয়েছে প্রসাধন সংক্রান্ত আলােচনা।
সেখানে সাবানের উল্লেখ আছে। প্রসাধনকে শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপকহারে বাজারজাত করে ইউরােপে নবজাগরণ করে ফ্রান্স। তাই ফ্রান্সকে সমগ্র ইউরােপের প্রসাধনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয়।
Leave a Comment