অনেকেই আছেন যারা সারাদিন পড়েন কিন্তু পড়া মনে রাখতে পারেন না। কষ্ট করে পড়া আত্মস্থ করার মাত্র ২৪ ঘন্টা পরে যদি তার ৮০% তথ্য ভুলে যান, তাহলে তা সময়ের ও শ্রমের বিশাল অপচয়।তবে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে এই বিশাল অপচয় রােধ করা সম্ভব। নিম্নলিখিতভাবে রিভিশনই পারে আপনার এই স্মৃতি বিপর্যয় ঠেকাতে । নিম্নে বর্ণিত ৪টি স্তরে আপনার আত্মস্ত করা তথ্যগুলাে রিভিশন দেবেনঃ
১ম পর্যায়ের রিভিশনঃ কোন পড়া/তথ্য আত্মস্ত করার পর ঠিক ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে উক্ত পড়াটা আবার ০৫ মিনিট ধরে রিভিশন দেবেন। এতে করে আপনার আত্মস্ত হওয়া তথ্যগুলাে অন্তত: ১ দিন মনে থাকবে।
২য় পর্যায়ের রিভিশনঃ পড়া আত্মস্ত করার ২৪ ঘন্টা বা ১ দিন পরে আবার ০৫ মিনিট ধরে ঐ পড়াটা রিভিশন দেবেন। এতে করে আত্মস্ত হওয়া তথ্যগুলাে আপনার প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে মনে থাকবে।
৩য় পর্যায়ের রিভিশনঃ ৩য় রিভিশনটি দেবেন পড়া আত্মস্ত করার ৭ দিন পর । প্রায় ৫ মিনিট রিভিশন দিলেই যথেষ্ট হবে। ফলে ১ মাস ধরে পড়াটা মনে থাকবে।
৪র্থ পর্যায়ের রিভিশনঃ ৪র্থ রিভিশনটি দেবেন পড়া আত্মস্ত করার ০১ মাস পরে । ৫ মিনিট ধরে এই শেষ পর্যায়ের রিভিশনটির কারণে আপনার আত্মস্তকৃত পড়াটা বা তথ্যগুলাে স্থায়ীভাবে আপনার স্মৃতিতে গেঁথে যাবে। দেখুন, ৪টি পর্যায়ে মােট (৫+৫+৫+৫) বা ২০ মিনিট রিভিশন আপনার প্রায় ১০০ মিনিট সময়ের অপচয় রােধ করবে। ১০০ মিনিট সময় চাকুরী প্রার্থী পরীক্ষার্থীর জন্য অনেক অনেক মূল্যবান সময় ।আত্মস্ত করা স্মৃতিকে দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য Tony Buzan বলেছেন পড়াশুনা শুধু গায়ের জোরে হয় না, এর সাথে জড়িত আপনার মন ও মানস। মন জিনিসটা খুবই স্পর্শকাতর । মনটাকে বস করতে হবে, পােষ মানাতে হবে । মন হচ্ছে মস্তিষ্কের স্মৃতি-ব্যাংকের সদর দরজা । এই দরজা বন্ধ থাকলে আপনার দরকারি তথ্যগুলাে স্মৃতি ব্যাংকে জমা হতে পারবে না । কিভাবে খুলবে মনের দরজা? তার আগে জানতে হবে, মন কোন ধরনের তথ্যকে স্মৃতিব্যাংকে জমা রাখে? উত্তর হচ্ছে, মন শুধুমাত্র গতিশীল ও প্রাণবন্ত স্মৃতিগুলােকে স্মৃতি-ব্যাংকে জমা রাখে । বাকীগুলােকে মন অসচেতন ভাবেই মুছে ফেলে।
উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি পড়া মনে রাখতে পারবেন বলে আসা করছি। এতে আপনার সময় বাঁচবে, পরিশ্রমও কম হবে ইনশাআল্লাহ।