বর্তমানে দেশে সরকারিভাবে স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর সংখ্যা কতটি? | |
ভুল | ৪৮টি |
সঠিক | ৫০টি |
৫ এপ্রিল ২০১০ জাতীয় সংসদে পাস করা হয় ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০। একই সাথে আইনের তফসিলে ২৭টি নৃ-গােষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এগুলাে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মাে, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, পাংখােয়া, চাক, খিয়াং, খুমি, লুসাই, কোচ, সাঁওতাল, ডালু, উসাই (উই), রাখাইন, মণিপুরী, গারাে, হাজং, খাসিয়া, মং, ওরাওঁ, বর্মণ, পাহাড়ী, মালপাহাড়ী, মুত্তা ও কোল।
এরপর নানা আলােচনা সমালােচনার পর ৩ মার্চ ২০১৫ ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর তালিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’-এর তফসিলে আরও ২৩টি গােষ্ঠীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সাথে পূর্বের তালিকা থেকে ‘উসুই. এবং ‘মং’ নাম দুটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কারণ ত্রিপুরাদের আরেক। নাম ‘উসুই ও মারমাদের একটি পদবি হচ্ছে মং’। নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবিত ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীগুলাে মাহাতাে, কন্দ, কড়া, গঞ্জু, গড়াইত, গুর্খা, তেলী, তুরি, পাত্র, বাগদী, বানাই, বড়াইক, বেদিয়া, ভিল, ভুমিজ/ভুইমালী, মালাে, মাহালী, মুশহর, রাজোয়াড়, লােহার, শবর, হুদি ও হাে।
এরপর আরও যাচাই বাছাই করে ক্ষুদ্র নৃ গােষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০’ এর ধারা ১৯ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৯ মার্চ ২০১৯ উক্ত আইনের তফসিলে ২৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর স্থলে ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ গােষ্ঠীর তালিকা প্রতিস্থাপন করে। ২৩ মার্চ ২০১৯ তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
৫০ ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠী- ওরাওঁ, কোচ, কোল, কন্দ, কড়া, খারিয়া/ খাড়িয়া, খারওয়ার/ খেড়ােয়ার, খাসিয়া/খাসি, খিয়াং, খুমি, গারাে, গঙু, গড়াইত, গুর্খা, চাক, চাকমা, ডালু, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, তেলী, তুরি, পাহাড়ী/ মালপাহাড়ী, পাংখােয়া/ পাংখাে, পাত্র, বাগদী, বানাই, বড়াইক/বাড়াইক, বেদিয়া, বম, বর্মণ, ভিল, ভূমিজ, ইমালী, মণিপুরী, মারমা, মুণ্ডা, ম্রো, মাহাতাে/ কুর্মি মাহাতাে/বেদিয়া মাহাতাে, মালাে/ ঘাসিমালাে, মাহালী, মুসহর, রাখাইন, রাজোয়াড়, লােহার, লুসাই, শবর, সাঁওতাল, হুদি, হাে, হাজং।
Leave a Comment