জাতীয় পর্যায়ে গৌরবােজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে। বিজয়ীরা হলেন— স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ : বীর মুক্তিযােদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার। নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মােহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস (মরণােত্তর), সিরাজুল হক (মরণােত্তর) চিকিৎসাবিদ্যা : অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মাে. কামরুল ইসলাম। স্থাপত্য : স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হােসেন (মরণােত্তর) গবেষণা ও প্রশিক্ষণ : বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং মুজিববর্ষে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগও স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে।
২০০৯ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রবর্তন করা হয়। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পদক প্রদান করা হয়। ২০২১ সালের বিজয়ী পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ » এম, এ মতিন (মতিন সৈকত) ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার > ইনাম আল হক ও Bangladesh Resource Centre For Indigenous Knowledge (BARCIK) ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত ‘কালি ও কলম তরুণ কবি। ও লেখক পুরস্কার ২০২১’ প্রদান করা হয়। এবারের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেনকথাসাহিত্যে বিভা ও বিভ্রম’ গ্রন্থের জন্য সাদাত হােসাইন, প্রবন্ধ-গবেষণায় ‘জীবনানন্দের মানচিত্র’ গ্রন্থের জন্য আমীন আল রশীদ এবং কবিতায় সুন্দরবন সিরিজ’ গ্রন্থের জন্য চাণক্য বাড়ৈ। এবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য এবং শিশু-কিশাের সাহিত্যে উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ জমা না পড়ায় এ বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
২০ মার্চ ২০২২ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘পল্লীবন্ধু পদক-২০২১’ প্রদান করা হয়। বিজয়ী আটজন বীর মুক্তিযােদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কবি ফজল শাহাবুদ্দীন (মরণােত্তর), গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, এন্ড্রু কিশাের (মরণােত্তর), অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম সিদ্দিক (মরণােত্তর), গােলাম সরােয়ার টিপু এবং বীর মুক্তিযােদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ বাবুল। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণে প্রথমবার ২০২২ সালে এ পদক প্রবর্তন করা হয়।
২২ মার্চ ২০২২ বাংলা ভাষার কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৮’ লাভ করেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক রঞ্জনা বিশ্বাস। বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সালথেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। প্রতিবছর একজন নারী সাহিত্যিককে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
Leave a Comment