সফরনামা প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর
আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও দুবাইয়ের শাসক মােহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে ৭ মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সফরকালে আল মাকতুমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করাসহ বাণিজ্য ও বিনিয়ােগ বাড়ানাের সিদ্ধান্ত হয়। ৮ মার্চ ২০২২ দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝােতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। স্মারক চারটি উচ্চতর শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে সহযােগিতা। স্মারক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (BISS) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস অ্যান্ড রিসার্চের (ECSSR) মধ্যে সহযােগিতা বিনিময়ে সমঝােতা স্মারক কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে একটি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (FBCCI) ও সংযুক্ত আরব আমিরাত চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্সের ও মধ্যে সহযােগিতা বাড়াতে একটি সমঝােতা স্মারক।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর
১৫ মার্চ ২০২২ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ দু’দিনের সফরে ঢাকায় পৌছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মােমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ২০১৬ সালের মার্চে সৌদি আরবের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ঢাকা সফর করেন। এবার প্রায় ৬ বছর পর সৌদির কোনাে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এলেন। ১৬ মার্চ ২০২২ বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দুটি সমঝােতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাচুয়ালি কেরানীগঞ্জের বসিলায় আরবি ভাষা ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভার্চুয়াল জাদুঘরের যাত্রা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতাে চালু হয় ভার্চুয়াল জাদুঘর। দেশের যেকোনাে জায়গা থেকে কেবল একটি ভিআরের সাহায্যে ঘুরে দেখা যাবে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ভার্চুয়াল জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ জামান সঞ্জীব। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতেই এ ভার্চুয়াল জাদুঘরের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এ ভিএমবি অ্যাপে যুক্ত হয়েছে। যে কেউ virtualmuseumbd.com ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে অ্যাপটি ডাউনলােড করতে পারেন এবং একটি ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এ ছয়টি স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা। লাভ করতে পারেন। যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলাে এ অ্যাপটিতে রয়েছে, সেগুলাে হলাে— বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, চাপাইনবাবগঞ্জের ছােট সােনা মসজিদ, যশােরের ১১ শিব মন্দির, সােনারগাঁওয়ের বড় সরদার বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের পানাম নগর ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির।
চুড়ান্ত ভােটার তালিকা
২ মার্চ ২০২২ ভােটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এবার ১৫,৬৬,৩৪১ জন নতুন ভােটার এ তালিকায় যুক্ত হন। ভােটার বৃদ্ধির হার ১.৪০%। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সারা দেশে মােট ভােটার সংখ্যা ১১,৩২,৮৭,০১০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভােটার ৫,৭৬,৮৯,৫২৯ জন ও নারী ভােটার ৫,৫৫,৯৭,০২৭ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভােটার ৪৫৪ জন। চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভােটার ৫০.৯২% ও নারী ভােটার ৪৯.০৮%।
মহীসােপানের হালনাগাদ তথ্য উত্থাপন
বঙ্গোপসাগরের মহীসােপান সীমা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। ২ মার্চ ২০২২ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২১ সদস্যের Commission on the Limits of the Continental Shelf (CLCS) এর ৫৪তম অধিবেশনে মহীসােপান সীমা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মােমেন। ২২ অক্টোবর ২০২০ CLCS-এ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মহীসােপানের সংশােধিত তথ্য দাখিলের পর এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যাদি উপস্থাপন করা হলাে। এ উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসােপানে তার অধিকার রক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছে। এরপর CLCS’র নিয়ম । অনুযায়ী, এ উদ্দেশ্যে গঠিত একটি সাব-কমিশন বাংলাদেশের উপস্থাপিত দলিলাদি পরীক্ষা করে বাংলাদেশের মালিকানার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে। এর ফলে বাংলাদেশ ঐ এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে। বাংলাদেশের মহীসােপান সীমানাসংক্রান্ত দলিলাদি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতাে CLCS এ জমা দেওয়া হয়। তবে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমাজনিত বিরােধের কারণে কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা দলিলাদি সে সময় পরীক্ষা করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থার মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরােধের সমাধান করে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন
২১ মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশে উৎপাদনে আসা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলাের মধ্যে সবচেয়ে বড়। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে ১৫ মে ২০২০ আর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ৮ ডিসেম্বর ২০২০। তবে করােনার মহামারি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় পাওয়ার অপেক্ষায় এত দিন কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। জানেন কি? পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগে দেশে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট। এই ক্ষমতার তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। অবশ্য বড় আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে আশা রয়েছে। সেগুলাে হলাে। ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কক্সবাজারের মাতারবাড়ীর। ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
FACT FILE
অবস্থান পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে চীনের সাথে নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ৯ জুন ২০১৪। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৪ অক্টোবর ২০১৬ প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু ১৫ মে ২০২০ দ্বিতীয়। ইউনিট থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০২০। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২১ মার্চ ২০২২ নির্মাণ বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (BCPCL) BCPCL গঠন ১ অক্টোবর ২০১৪ বর্তমানের বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রতিদিন উৎপাদনের সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। দেশের দ্বিতীয় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র (প্রথম বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র) কেন্দ্র নির্মাণের সিংহভাগ অর্থায়ন করেছে চীন। নির্মিত ১,০০০ একর জমির উপর । পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গােপালগঞ্জ পর্যন্ত, আমিনবাজার-মাওয়া-গােপালগঞ্জমােংলা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে কয়লা আসে। পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বা প্ল্যান্টের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে বলা হয় আন্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। বিশ্বের ১৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ই-সিম
গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতাে ই-সিম (embedded-SIM) চালু করে। ৭ মার্চ ২০২২ থেকে ই-সিম দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা ই-সিম ই-সিম কী? সমর্থন করে এমন ডিভাইসে প্লাস্টিক সিম সিম কার্ড ছাড়াই কার্ড ছাড়াই কানেকটিভিটির সুবিধা উপভােগ মােবাইল নেটওয়ার্ক করতে পারবেন। বহু নেটওয়ার্ক ও নম্বর ব্যবহারের ডিজিটাল একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে। তবে এটি পদ্ধতি। নির্ভর করবে মুঠোফোনের ওপর। নতুন ই- সুবিধা। সিম সংযােগ পেতে হলে গ্রাহকদের ই-সিম নিরাপদ সহজ সমর্থন করে এমন ডিভাইস থাকতে হবে। পরিবেশবান্ধব। বিশ্বজুড়েই ডিজিটাল রূপান্তরসহ পরিবেশগত সুবিধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ই-সিম।
পুলিশ মেমােরিয়াল
দেশে-বিদেশে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মানে ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কম্পাউন্ডে নির্মাণ করা হয় পুলিশ মেমােরিয়াল। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পুলিশ। মেমােরিয়ালের উদ্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে স্থায়ী দৃষ্টিনন্দন। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নকশা। প্রণয়ন ও সাইট নির্ধারণ করে ২০১৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। অনন্য এ স্থাপত্য নকশায় নির্মিত পুলিশ মেমােরিয়ালের বেদির মােট আয়তন ২৮,৩০০ বর্গফুট।
পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন
৮ মার্চ ২০২২ পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়। ১৫ মার্চ ২০২২ পানি দিয়ে গ্যাসপাইপ লাইনের হাইড্রোলিক পরীক্ষা করা হয়। এপ্রিলে গ্যাস ব্যবহারে এই পাইপলাইনের পরীক্ষা হবে। মূল সেতুজুড়ে গ্যাস লাইন বসানাের পর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটি এবং মাওয়া প্রান্তের এক নম্বর খুঁটি দিয়ে লাইন। নিচে নামিয়ে আনা হয়। সেতুর দুই প্রান্তেই গ্যাসের দুটি সাবস্টেশন স্থাপন হবে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) পরবর্তীতে এ স্টেশন স্থাপন করবে। জিটিসিএল ও সেতু কর্তৃপক্ষ এবং মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ২৩ জুন ২০২২ সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই গ্যাস লাইনের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের। কাছে হস্তান্তর করা হবে। পদ্মা সেতুর গ্যাস সংযােগ। নিশ্চিত করার জন্য ৭৬২ মিলিমিটার ডায়া এবং ২৫.৪০ মিলিমিটার ওয়াল থিকনেসের এ গ্যাসপাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। ১২ মিটার লম্বা ৫৩১টি গ্যাসপাইপ স্থাপন করা হয়। সাতটি মডিউলে ভাগ করে ৬.১৫ কিলােমিটার সেতুতে ৬.৭০ কিলােমিটার। গ্যাসপাইপ বসেছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে লাঙ্গলবন্দ ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এ গ্যাস যুক্ত হবে মাওয়া গ্যাস সাবস্টেশনে।
বিশ্বের (২৫) ঐতিহ্যের তালিকায় বাগেরহাট
World Monuments Watch মূলত ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ড (WMF) দ্বারা পরিচালিত একটি প্রকল্প। বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ভারসাম্যহীন পর্যটন ও কম প্রচারের কারণে পিছিয়ে পড়ছে সেগুলাের রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে সহায়তা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে WMF। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর তারা এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। এ ছাড়া ভারত, যুক্তরাজ্য, পেরু, স্পেন, পর্তুগাল, কম্বােডিয়ায় সংস্থার কার্যালয় ও কার্যক্রম রয়েছে। সম্প্রতি WMF ২০২২ সালের। বিশ্ববিখ্যাত ২৫টি ঐতিহ্যের তালিকা প্রকাশ করে। এবারের তালিকা তৈরির জন্য ২২৫টির বেশি স্থানের মনােনয়ন দেওয়া হয়। সেগুলাে থেকে যাচাই-বাছাই করে ২৫টি স্থানকে ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় । WMF’র মতে এবারের তালিকায় অসাধারণ। তাৎপর্যপূর্ণ যে ২৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, তা ১২,০০০ বছরের ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। এবারের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদের শহর বাগেরহাট। বাগেরহাট এ তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র স্থান।
ঐতিহাসিক মসজিদের শহর
খানজাহান আলীর আমলে নির্মিত ইসলামী স্থাপত্যরীতির মসজিদগুলাের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে UNESCO ১৯৮৫ সালে বাগেরহাটকে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর হিসেবে ৩২১তম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে বাগেরহাটের ১৭টি স্থাপনাকে তালিকাভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে ১০টি-ই মসজিদ। মসজিদগুলাে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বিবি বেগুনি মসজিদ, চুনাখােলা মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, জিন্দা পীরের মসজিদ, দশ গম্বুজ মসজিদ, রণবিজয়পুর মসজিদ, রেজা খােদা। মসজিদ, সিংগাইর মসজিদ ও এক গম্বুজ মসজিদ। বাগেরহাট শহরের আশপাশজুড়ে রয়েছে এ মসজিদগুলাে। এছাড়াও খানজাহান আলী (রহ.)-এর সমাধি, পীর আলী তাহেরের সমাধি, জিন্দা পীরের সমাধি, সাবেকডাঙ্গা প্রার্থনা কক্ষ, খানজাহান আলী। (রহ.)-এর বসতভিটা, বড় আদিনা দিঘি, খানজাহানের তৈরি প্রাচীন রাস্তাকেও বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৫ শতকের দিকে খানজাহান আলী (রহ.) ষাট গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিতে সর্বমােট ৮১টি গম্বুজ রয়েছে।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত বাংলাদেশ
বিদ্যুতের উজ্জ্বল আলােয় আলােকিত পুরাে দেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ভেসে যাবে লাল-নীল আলাের ঝর্ণাধারায়। দুর্গম পাহাড় থেকে শুরু করে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে পৌছবে আলাের ছোঁয়া। শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশের কাতারে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের জনগােষ্ঠীর ৪৭% বিদ্যুতের আওতায় ছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩% মানুষ বিদ্যুৎ সংযােগের আওতায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানাের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়। ২১। মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক ঘােষণা দেন। দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎ সংযােগ। রয়েছে, যার আওতায় শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযােগ বেড়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌছানাে যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযােগ এবং সােলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। বিপুলসংখ্যক জনগণকে সংযুক্ত করার পর এখন টেকসই, নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করা হবে সরকারের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর খসড়ার অনুমােদন দেওয়া হয়। চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিন বছর পর পর রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করা হয়। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত বলতে সে সকল খাতকে বােঝায় যেখানে রপ্তানির বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। 3 অথচ বিবিধ কারণে এ সম্ভাবনাকে তেমন কাজে লাগানাে যায়নি, তবে 3 প্রয়ােজনীয় সহযােগিতা দিলে অধিকতর সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। যথা—অধিকমূল্য সংযােজিত তৈরি পােশাক, ডেনিম। কৃত্রিম ফাইবার । গার্মেন্টস এক্সেসরিজ। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য। প্লাস্টিক পণ্য। জুতা এবং চামড়াজাত পণ্য। পাটজাত পণ্য। কৃষি পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য। জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার নির্মাণ। ফার্নিচার । হােম টেক্সটাইল ও হােম ডেকর, টেরিটাওয়েল। লাগেজ। একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (API) এবং ল্যাবরেটরি বিকারক। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাত যে সকল পণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। । অথচ পণ্যগুলাের উৎপাদন, সরবরাহ এবং রপ্তানি ভিত্তি সুসংহত নয় সে সকল পণ্যের রপ্তানি ভিত্তি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যথা— ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য সিরামিক পণ্য। মূল্য সংযােজিত হিমায়িত মৎস্য। প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং। কাটিং ও পােলিশকৃত মসৃন হীরা ও জুয়েলারি। পেপার ও পেপার প্রােডাক্টস। রাবার ও রাবারজাত পণ্য। রেশম সামগ্রী হস্ত ও কারু পণ্য। লুঙ্গিসহ তাঁত শিল্পজাত পণ্য। ফটোভলটিক মডিউল (সােলার এনার্জি)। কাজুবাদাম। জীবন্ত ও প্রক্রিয়াজাত কাকড়া। খেলনা। আগর। হালাল ফ্যাশন আবায়া ইত্যাদি, বােরকা, হিজাব। হালাল মাংস ও মাংসজাত পণ্য এবং অন্যান্য হালাল পণ্য। । রিসাইকেল্ড পণ্য। সফটওয়্যার ও আইটি এনাবল সার্ভিসেস, আইসিটি পণ্য BPO, Freelancing। বিশেষ উন্নয়নমূলক সেবা খাত পর্যটন শিল্প। আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনসালটেন্সি সার্ভিসেস।
মানবদেহে মেকানিক্যাল হার্ট
হৃদরােগে আক্রান্তদের জন্য সাময়িক উপশম হচ্ছে ‘মেকানিক্যাল হার্ট । এতদিন বিদেশে এ যন্ত্রের অস্ত্রোপাচার
হলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম ৪২ বছর বয়সি বছর বয়সি এক নারীর শরীরে। ‘মেকানিক্যাল হার্ট বসানাে হয়। মেকানিক্যাল হার্ট মূলত একটি যন্ত্র যা রক্তমাংসের হৃদপিণ্ডের বদলে, রক্ত সঞ্চালনের কাজ করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ২ মার্চ ২০২২ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল চার ঘণ্টা সময় নিয়ে অস্ত্রোপচার করে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট করেন। এটি ইমপ্ল্যান্ট করার জন্য যন্ত্রটির দামসহ সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় সােয়া এক কোটি টাকা। এটি ব্যাটারি চালিত যা, মােবাইল ফোনের ব্যাটারির মতাে চার্জ দিতে হয়। ব্যাটারির চার্জ থাকে ছয় সাত ঘণ্টার মতাে। মেকানিক্যাল হাটের ব্যাটারি ও মনিটর শরীরের বাইরে একটি ব্যাগে বহন করতে হয়।। সবমিলিয়ে এর বহনযােগ্য অংশের ওজন দেড় কেজির মতাে। সাধারণত হৃদযন্ত্র পুরােপুরি বিকল হয়ে গেলে প্রতিস্থাপন করার দরকার হয়। সুস্থ। হৃদ্যন্ত্র পাওয়া না গেলে বা পেতে দেরি হলে এ যন্ত্রটি লাগানাে হয়।
গণটিকায় মাইলফলক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ দেশজুড়ে করােনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন করােনার এক কোটি প্রথম ডােজ টিকা দেওয়ার টার্গেট থাকলেও দিনশেষে টিকা দেওয়া হয় ১,১১,৭৪,৭২৫ ডােজ। একইসঙ্গে করােনার দ্বিতীয় ডােজ এবং বুস্টার ডােজও দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডােজ দেওয়া হয় ৮,১৫,০৭৩ জনকে। আর বুস্টার ডােজ পান। ৭৩,৮৫৫ জন। একদিনে সর্বমােট ১,২০,৬৩,৬৫৩ ডােজ টিকা দিয়ে করােনা টিকাদানে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখায় বাংলাদেশ সরকার। একদিনে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি করােনার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের পরেই জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। টিকার বৈশ্বিক তালিকায় দুই ডােজ টিকাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৮ম। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডােজ মিলে মােট টিকার তালিকায় চার ধাপ এগিয়ে ৭ম অবস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ।
পােশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়
তৈরি পােশাকের বিশ্ববাণিজ্যে অনেক দিন ধরেই তীব্র প্রতিযােগিতা চলছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে। চীনের পরের অবস্থান অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা পেতেই এ লড়াই। এ প্রতিযােগিতায় ভিয়েতনামকে আবারও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ২০২১ সাল শেষে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪৭২ কোটি ডলার বেশি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) পরবর্তী প্রতিবেদনে দ্বিতীয় অবস্থানের এ স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। সদস্য দেশগুলাের রপ্তানি বাণিজ্যের বিশ্লেষণ নিয়ে প্রতিবছর জুনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরাে (EPB) এবং ভিয়েতনামের ট্রেড প্রমােশন কাউন্সিলের (Vietrade) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পােশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩,৫৮০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, একই বছর ভিয়েতনামের রপ্তানির মােট পরিমাণ ৩,১০৮ কোটি ডলার। রপ্তানি বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বন্দর। ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক বন্দর আছে ১৬৩টি। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ভিয়েতনামের বন্দরের সংখ্যা ৩২০টি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ৭০টি।
১৩৪ শুল্ক স্টেশন বিলুপ্ত
বর্তমানে দেশে ১৮৪টি ল্ক স্টেশন আছে। কাগজে-কলমে এসব ল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার সুযােগ ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ জাতীয় রাজস্ব বাের্ড (NBR) ১৩৪টি স্ক স্টেশনকে বিলুপ্ত ঘােষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি ও করে। এসব ল্ক স্টেশন দিয়ে কোন কোন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে, সেই তালিকাও ইতােমধ্যে প্রকাশ করেছে NBR। চালু থাকা স্ক স্টেশনগুলাের 3 মধ্যে রয়েছে যশােরের বেনাপােল খুলনার রায়মঙ্গল ও খুলনা সদর 3 সাতক্ষীরার ভােমরা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দৌলতগঞ্জ মেহেরপুরের মুজিবনগর রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ, রাজশাহী সদর ও সিরাজগঞ্জ চাপাইনবাবগঞ্জের সােনামসজিদ, রহনপুর ও আমনুরা রেলস্টেশন নওগাঁর ধামইরহাট দিনাজপুরের হিলি ও বিরল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা নীলফামারীর চিলাহাটি লালমনিরহাটের বুড়িমারী কুড়িগ্রামের সােনাহাট, রৌমারী, চিলমারী ও নুনখাওয়া মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট জামালপুরের ধানুয়া-কামালপুর, শেরপুরের নাকুগাঁও ময়মনসিংহের গােবরাকুড়া ও কড়ইতলী। ১ জুলাই ২০০৭ আমদানি-রপ্তানি হয় না এমন ৫০টি ল্ক স্টেশনকে অকার্যকর ঘােষণা করা হয়। তবে পূর্বানুমতি নিয়ে এসব স্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার সুযােগ রাখা হয়।
প্রাইজবন্ডের ফল অনলাইনে
৫ মার্চ ২০২২ সহজে প্রাইজবন্ড লটারির ফল জানতে ‘প্রাইজবন্ড রেজাল্ট ইনকোয়ারি (PBRES) পিবিআরইএস’ নামের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ই-সেবা অংশে প্রাইজবন্ডের ড্র’র ফল অনুসন্ধানে প্রবেশ করে গ্রাহকরা ফল জানতে পারবেন। অনুষ্ঠানে জানানাে হয়, এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুই পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের ফল জানা যাবে। একটি সার্চ বক্সে বাংলা বা ইংরেজিতে সরাসরি প্রাইজবন্ডের নম্বর লেখা। এ পদ্ধতিতে একাধিক নম্বর একসঙ্গে অনুসন্ধান করতে হলে কমা দিয়ে নম্বরগুলাে লিখতে হবে। সিরিজ নম্বরের ক্ষেত্রে প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইফেন লিখে সার্চ করা যাবে। এর বাইরে মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল আপলােড করে ফল জানা যাবে। এই ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব অপশন আছে প্রাইজবন্ড গ্রাহকদের। লটারির পর সাবস্ক্রাইবারের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে এ সংক্রান্ত তথ্য। প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৬৭টি সিরিজের প্রাইজবন্ড রয়েছে। প্রতিটি সিরিজ থেকে ৪৬টি করে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি তিন মাস পর পর লটারি হয় প্রাইজবন্ডের। একটি লটারিতে সব সিরিজে মােট ৩,০৮২টি প্রাইজবন্ড পুরস্কার পেয়ে থাকে।
নতুন দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
দেশে নতুন করে আরও দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হবে নওগাঁয় ও আরেকটি ঠাকুরগাঁওয়ে। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমােদন দেওয়া হয়। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে সরকারি (সরকারি মালিকানাধীন), বেসরকারি বেসরকারি মালিকানাধীন) এবং আন্তর্জাতিক (আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত)।
ডেন্টাল ইউনিট হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কলেজ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ডেন্টাল ইউনিটকে পূর্ণাঙ্গ ‘ডেন্টাল কলেজ’-এ রূপান্তরের জন্য অনুমােদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে পৃথক হচ্ছে চমেকের ডেন্টাল ইউনিট।
দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স
কক্সবাজারে হচ্ছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। যার নাম হবে শেখ কামাল ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি মাঠের পাশাপাশি কমপ্লেক্সে থাকবে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ। প্রােফেশনাল অ্যাসােসিয়েটস লিমিটেড কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করবে। প্রস্তাবিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অবস্থান কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩,৫০০ ফুট দূরে লাবণী বিচ সড়কে অবস্থিত। এ কমপ্লেক্সে ক্রিকেটে ১৫,০০০, ফুটবলে ১৫,০০০ এবং হকিতে ৮,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম হবে। কমপ্লেক্সে থাকবে গ্যালারি স্থান, ভিআইপি সুবিধা, রেস্তোরা, মিডিয়া, স্টেডিয়াম প্রশাসন, সেবাকক্ষ, স্টোরেজ, টয়লেট। এছাড়া জিমনেশিয়াম ও ইনডাের অনুশীলনে থাকবে প্রধান ইনডাের নেটব্লক, সেবাকক্ষ, টিভি রুম, টয়লেট। একাডেমিতে ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজুয়াল কক্ষ ও পার্কিংয়ের জায়গা।