মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর (১৫২৬); বাবর শব্দের অর্থ— বাঘ, সম্রাট বাবর রচিত আত্মজীবনীর নাম- তুযুক-ই-বাবর বা বাবরনামা।
সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পরবর্তী বংশধর – দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ। এজন্য মূলত: আওরঙ্গজেবকে সম্রাট বাবরের শেষ বংশধর হিসেবে গণ্য করা হয়।
{বাবর থেকে আওরঙ্গজেব মনে রাখুন এভাবে বাবার (বাবর) হইল (হুমায়ূন) আবার (আকবর) জ্বর (জাহাঙ্গীর) সারিল (সাজাহান) ঔষধে (ঔরঙ্গজেব বা আওরঙ্গজেব)।}।
মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক- সম্রাট আকবর; তিনি বাংলা জয় করেন- ১৫৭৫ সালে; সম্রাট আকবর প্রবর্তিত ধর্মের নাম দীন-ই-ইলাহী।
ই-বাঙ্গালা’ নামে পরিচিতি লাভ করে- সম্রাট আকবরের সময়।
সম্রাট আকবরের রাজসভার গায়ক তানসেনকে বলা হয়- বুলবুল-ই-হিন্দ; তাঁর রাজসভার বিখ্যাত কৌতুককার ছিলেন- বীরবল।
মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নাম দেন জান্নাতাবাদ; হুমায়ুনকে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন- শেরশাহ।
ভারতবর্ষে ঘােড়ার ডাকের প্রবর্তক শেরশাহ; গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােডের নির্মাতা- শেরশাহ; গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােডের অপর নাম— সড়ক-ই-আজম; শেরশাহ চালুকৃত মুদ্রার নাম— দাম।
বাংলায় বার ভূঁইয়াদের উত্থান ঘটে— সম্রাট আকবরের সময়।
বার ভূঁইয়াদের শ্রেষ্ঠ ভূঁইয়া ঈশা খান।
ঈশা খান বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন- সােনারগাঁওয়ে।
পানি পথের প্রথম যুদ্ধ—১৫২৬, দ্বিতীয় যুদ্ধ- ১৫৫৬, তৃতীয় যুদ্ধ- ১৭৬১।
পানিপথ অবস্থিত দিল্লির অদূরে যমুনা নদীর তীরে, ভারতবর্ষে প্রথম কামানের ব্যবহার হয় পানি পথের প্রথম যুদ্ধে।
পানিপথের ১ম যুদ্ধে ইব্রাহিম লােদি বাবরের বাহিনীর নিকট পরাজিত হন, পানি পথের ২য় যুদ্ধে- আফগান নেতা হিমু আকবরের সেনাপতি বৈরাম খানের নিকট পরাজিত হন এবং পানি পথের ৩য় যুদ্ধে মারাঠারা আহমদ শাহ আবদালির নিকট পরাজিত হন।
আইন-ই-আকবরীর রচয়িতা- আবুল ফজল।
এই গ্রন্থে বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে।
তাজমহল ও ময়ূর সিংহাসনের নির্মাতা- সম্রাট শাহজাহান; দিল্লি আক্রমণ করে কোহিনুর ও ময়ূর সিংহাসন লুট করেন নাদির শাহ।
বাংলার প্রথম সুবেদার ইসলাম খা; তিনি প্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন ঢাকায় (১৬১০); ঢাকার নামকরণ করেন— জাহাঙ্গীরনগর। ঢাকা প্রথম রাজধানী হয়— ১৬১০ সালে।
ঢাকার ধােলাই খাল নির্মাণ করেন—ইসলাম খা; লালবাগ দুর্গ নির্মাণ করেন শায়েস্তা খান।
বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন নবাব-মুর্শিদকুলি খান (কেননা তিনি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন)।
শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর বা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ, তাঁর কবর- ইয়াঙ্গুন।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
পলাশী যুদ্ধ সংগঠিত ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন; ভাগিরথী নদীর তীরে, এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হয়।
পলাশী যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ; নবাব বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন— মীর জাফর।
সিরাজউদ্দৌলার প্রকৃত নাম— মির্জা মােহাম্মদ; পিতার নাম জয়েন উদ্দিন; মাতার নামআমিনা বেগম; তাঁর বিরুদ্ধে প্রসাদ ষড়যন্ত্র করেন- ঘসেটি বেগম।
বক্সারের যুদ্ধ সংগঠিত হয়— ২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ সালে; এ যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট শােচনীয় পরাজয় বরণ করেন- মীর কাসিম।
অন্ধকূপ হত্যা কাহিনী তৈরি করেন— হলওয়েল; হলওয়েল মনুমেন্ট হলাে- সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে নির্মিত মনুমেন্ট।
Leave a Comment