মানুষের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ও আচারব্যবস্থা সমাজজীবনকে প্রভাবিত করে। মানুষের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় সাধারণত নাগরিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার জন্য এবং দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য। এর জন্য মানুষ রাজনৈতিক দল গঠন করে, রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
এসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। ব্যক্তি দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য বিভিন্ন দলে সংগঠিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য ও মতামত জনগণের নিকট উপস্থাপিত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে জয়ী দল সরকার গঠন করে এবং বিজিত দল বিরােধী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়। সরকার দেশের নানাবিধ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করার জন্য চেষ্টা করে।
অপরদিকে বিরােধী দলের কাজ হল ক্ষমতাসীন দলের সমালােচনা করা, ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রকাশ করা, মন্দ কাজের বিরােধিতা করা, যাতে পরবর্তী নির্বাচনে সরকারি দলকে পরাজিত করা যায়। বিরােধী দলের সক্রিয় ভূমিকার কারণে সরকার দুর্নীতি ও অন্যায়মূলক কাজ হতে বিরত থাকে। এজন্য বলা হয় কোনাে দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হল সে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
সুতরাং সরকার ও বিরােধী দল মিলে দেশে যদি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তােলে তাহলে সে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি না হওয়ার কোনাে কারণ থাকে না। দেশের প্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করে জনগণের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা ও কর্মকাণ্ডের ওপর।
Leave a Comment