মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে চলাফেরা ও বিকাশের জন্য মানুষে মানুষে যােগাযােগের প্রয়ােজন। তবে এখন আইসিটিতে সামাজিক যােগাযােগ বলতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকেই বােঝায়। এর অর্থ হলাে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যােগাযােগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি, বিনিময় কিংবা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যােগাযোেগ।
আরো পড়ুন :
- বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ৩০টি প্রশ্ন ও উত্তর
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে গুরুত্বপুর্ণ কিছু তথ্য
- ICT সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দের পূর্ণরূপ জানুন।
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতির জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বর্তমানে এই যােগাযােগ হয়ে পড়েছে সহজ, সাশ্রয়ী এবং অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ। ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইমেইল, মােবাইল ফোন ও মেসেজিং সিস্টেম, ব্লগিং এবং সামাজিক যােগাযােগ প্ল্যাটফর্মসমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে আইসিটিভিত্তিক সামাজিক যােগাযােগ অনেকাংশে সহজ। ইন্টারনেটে গড়ে উঠেছে অনেক প্ল্যাটফর্ম, যা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি মাধ্যম হলাে-ফেসবুক ও টুইটার।
ফেসবুক (www.facebook.com) :
ফেসবুক সামাজিক যােগাযােগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট। ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মার্ক জুকারবার্গ তার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এটি চালু করেন। বিনামূল্যে যে কেউ ফেসবুকের সদস্য হতে পারে। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযােজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি প্রকাশ, আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে পারেন। এছাড়া এতে অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করা যায়। ফেসবুকে যেকোনাে প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পেজ যেমন খুলতে পারে, তেমনি সমমনা বন্ধুরা মিলে চালু করতে পারে কোনাে গ্রুপ। www.stastica.com এর রিপাের্ট মার্চ-২০১৫ অনুযায়ী বিশ্বে Facebook ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৪১৫ মিলিয়ন।
টুইটার (www.twitter.com) :
টুইটারও একটি সামাজিক যােগাযােগ ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এটিতে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ১৪০ Character-এর মধ্যে তাদের মনােভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইটও বলা যায়। ১৪০ অক্ষরের এই বার্তাকে বলা হয় টুইট (tweet)। টুইটারের সদস্যদের টুইট বার্তাগুলাে তাদের প্রােফাইল পাতায় দেখা যায়। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট পড়ার জন্য সে সদস্যকে অনুসরণ বা follow করতে পারেন। কোনাে সদস্যকে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে বলা হয় follower বা অনুসারী।