হাইটেক পার্ক বলতে উচ্চপ্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন এবং প্রয়ােগ, প্রযুক্তিপণ্যের উৎপাদন এবং আমদানি-রপ্তানির সুবিধা সংবলিত বিশেষায়িত এলাকাকে বােঝায়। হাইটেক পার্ক মূলত, একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিল্প এলাকা। বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দেশেই তৈরি হবে আমাদের নিত্য ব্যবহার্য প্রযুক্তিপণ্য। এদেশে নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে আমাদের ব্যাংক-বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালতসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান এ স্বপ্ন নিয়েই ১৯৯৯ সালে হাইটেক পার্ক ধারণার যাত্রা শুরু হয়।
হাইটেক পার্ক যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি বিশেষ স্থান তাই দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলাে এখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এসব হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযােগে সৃষ্টি করবে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- কর্মসংস্থানে স্টার্টআপের ভূমিকা
- দারিদ্র্য বিমােচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন : শেখ হসিনা মডেল
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)
- এলসি (ঋণপত্র)
- বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির উৎস
- এসএমই খাতে গুচ্ছভিত্তিক অর্থায়ন করবে ব্যাংক
- বাংলা বন্ড
- ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
- স্মার্ট বাংলাদেশ
- নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতি
পার্কগুলাে তৈরির কাজ শেষ হলে। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সফটওয়্যার ও সেবা রপ্তানি করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন নিয়েই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ হাইটেক পার্ক বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি।
বর্তমানে দেশের ২৮টি জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। অত্যাধুনিক অবকাঠামাে নির্মাণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবা ও হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়ােগকারীদের আকৃষ্ট করতে হাইটেক পার্কগুলােতে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সুযােগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে।