UNESCO কবে থেকে নির্বস্তুক বা অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘােষণা করে? | |
ভুল | ২০০৬ সালে |
সঠিক | ২০০৮ সালে |
বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে আছে স্পর্শাতীত বা অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (Intangible Cultural Heritage)-এর অসংখ্য উপাদান। এ সকল উপাদানকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে UNESCO’র মহাপরিচালক ১৮ মে ২০০১ প্রথম বিভিন্ন দেশের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নাম প্রকাশ করে। যার নামকরণ করা হয় Masterpiece of the Oral and Intangible Heritage of Humanity.
এরপর ৭ নভেম্বর ২০০৩ দ্বিতীয় তালিকায় ২৮টি ও ২৫ নভেম্বর ২০০৫ তৃতীয় তালিকায় আরও ৪৩টি ঐতিহ্যসহ তিন পর্বে মােট ৯০টি ঐতিহ্যের নাম প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় তালিকায় বাংলাদেশের বাউল সংগীতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে UNESCO ১৭ অক্টোবর ২০০৩ স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য কনভেনশন স্বাক্ষর করে, যা কার্যকর হয় ২০ এপ্রিল ২০০৬। এ পর্যন্ত ১৭৮টি রাষ্ট্র এ কনভেনশন স্বাক্ষর করেছে।
কনভেনশন স্বাক্ষর করা সকল দেশ প্রতি বছর নিজেদের যেকোনাে একটি উপাদানের স্বীকৃতি চেয়ে UNESCO-তে আবেদন করতে পারে। স্বাক্ষরকৃত দেশগুলাের আবেদনের প্রেক্ষিতে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদান যাচাই-বাছাই ও সুনির্দিষ্ট করে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তুলে ধরার কাজ করে UNESCO।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটির স্বীকৃতি লাভের মধ্য দিয়ে একটি দেশ ঐ উপাদানের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ৪-৮ নভেম্বর ২০০৮ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটি তুরস্কের ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত তৃতীয় অধিবেশনে পূর্বের তিনধাপের ৯০টিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘােষণা করে।
বাংলাদেশে বর্তমানে UNESCO’র ঘােষিত অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে ৪টি—বাউল সংগীত, জামদানি, মঙ্গল শােভাযাত্রা ও শীতলপাটির বয়ন পদ্ধতি।
ঐতিহ্য | স্বীকৃতি | যে অধিবেশনে | অধিবেশন স্থান |
বাউল সংগীত | নভেম্বর ২০০৮ | তৃতীয় | ইস্তানবুল, তুরস্ক |
জামদানি | ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ | অষ্টম | বাকু, আজারবাইজান |
মঙ্গল শােভাযাত্রা | ৩০ নভেম্বর ২০১৬ | একাদশ | আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া |
শীতলপাটির বয়ণ পদ্ধতি | ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | দ্বাদশ | জেজু দ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া |
Leave a Comment