![100 English Essay For Juniors](https://bcspreparation.net/wp-content/uploads/2022/09/Bcs-Preparation-1-780x470.png)
প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থক
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। জ্ঞানকর্মে ও পুণ্য-প্রীতিতে মানুষ তার জীবনকে সার্থক করে তুলছে। বাঁচার জন্য মানুষ নীরবে সংগ্রাম করে। মানুষের বাচা তখনই সার্থক হয়, যখন সে প্রীতির পরশে আপন। আলয়ে স্বর্গ রচনা করতে পারে। ভােগ, ঐশ্বর্য, ক্ষমতা মানুষের কাম্য হতে পারে কিন্তু এসবে প্রকৃত সুখ নেই। মানুষ সুখ পায় প্রীতিময় সংসারে মমতাময় অনুভবে। তাই কবি বলেন‘প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাধনে/ যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন/ আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে। প্রতি মানুষের জীবনে স্বর্গসুখ এনে দেয়। যে হৃদয়ে প্রীতি নেই, প্রেম নেই সে হৃদয় নিষ্ঠুর, নির্মম। বিধাতা মানুষকে বিবেক দিয়েছেন ভালােবাসার মাঝে এক সুন্দর জীবন গড়ে তােলার জন্য। মানুষ জীবনে ও কর্মে সার্থক হয় তখনই, যখন প্রীতিপ্রেমের পুণ্য বাঁধনে সে জীবনকে উপভােগ করতে গেলে প্রীতিহীন যে হৃদয় সে হৃদয়ে শান্তি ও সুখ থাকতে পারে না। শান্তি ও সুখের জন্য তথা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য কর্ম করতে হয় এবং প্রতিটি কর্মই করতে হয় দৃঢ়প্রত্যয়ে। কারণ কোনাে কাজ যদি অর্ধপথে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে শ্রম, অর্থ, সময় সবই নষ্ট হয়। একনিষ্ঠভাবে সফল হবার প্রতিজ্ঞায় দৃঢ় হয়ে কোনাে কাজে হাত দিলে সে কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা হয়। লক্ষ্যহীন পরিণামহীন কর্ম মানুষকে গৌরব বা কৃতিত্ব কোনােটিই এনে দিতে পারে না। তাই লক্ষ্য স্থির করে অধিক মনােবল নিয়ে কর্ম সম্পাদনে অগ্রসর হতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে, জীবন সার্থক হবে।
এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :
- কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
- পথ পথিকের সৃষ্টি করে না পথিকই পথ সৃষ্টি করে
- অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
- অসি অপেক্ষা মসী অধিকতর শক্তিমান
- অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- অর্থই অনর্থের মূল
- অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়