চীনের নেতৃত্বে গঠিত রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তির পাল্টা হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৩ মে ২০২২ আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) গঠন করেন। বাণিজ্য চুক্তিতে সাধারণত যে বাজার-সুবিধা থাকে, এ চুক্তিতে তা থাকবে না।
আইপিইএফভুক্ত ১৩টি দেশ হলাে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
দেশগুলাে বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। কৌশলগত অর্থনৈতিক জোটটির লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মিত্রদেশগুলাের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব জোরদার করাসহ ওই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানাে।
এ অঞ্চল ঘিরে পূর্বে তিনটি জোট ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি), ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) ও ইন্দোপ্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) গঠন করা হয়।
তিনটি জোট থেকেই কৌশলে চীনকে বিযুক্ত রাখা হয়েছে। চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উত্থান, দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ ও ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রােড প্রকল্প গ্রহণসহ নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঠেকাতে উত্তরােত্তর নানা আঞ্চলিক জোট গঠন করেই যাচ্ছে।
Leave a Comment