বিসিএস প্রিলিমিনারী প্রস্তুতির জন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পর্ব- ০২
BCS Preliminary Preparation Bangla Language and Literature Part- 02
বাংলা ভাষা
প্রয়ােগ-অপপ্রয়োেগ
- ‘স্বস্ত্রীক’ ও ‘অশ্রুজল’ যে কারণে অশুদ্ধ- অপপ্রয়ােগজনিত।
- ‘ছত্রচ্ছায়া’ শব্দের সঠিক প্রয়ােগ- ছত্রছায়া।
- ‘সকল গণমাধ্যমগুলাে’ যে কারণে অশুদ্ধ- বহুবচনজনিত।
- ‘কেবলমাত্র’ ও ‘সমতুল্য’ শব্দ দুটি যে কারণে অশুদ্ধ- শব্দ গঠনজনিত।
বানান ও বাক্য শুদ্ধি
বানান শুদ্ধি
- অনিন্দ্য
- আনুষঙ্গিক
- ঔদ্ধত্য
- কঙ্কণ
- ঘূর্ণায়মান
- টইটম্বুর
- ন্যুজ
- বন্ধ্যা
- বিভীষিকা
- মধুসূদন
- শ্মশান
- সন্ন্যাসী
- পাণিনি
বাক্য শুদ্ধি
অশুদ্ধ : রচনাটির উৎকর্ষতা অনস্বীকার্য।
শুদ্ধ : রচনাটির উৎকর্ষ অনস্বীকার্য।
অশুদ্ধ : তিনি সাক্ষী দিতে রাজি হননি।
শুদ্ধ : তিনি সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি।
অশুদ্ধ : তাহার জীবন সংশয়পন্ন।
শুদ্ধ : তাহার জীবন সংশয়াপন্ন।
অশুদ্ধ : রাজ পাপিষ্ঠ রানিকে শাস্তি দিলেন।
শুদ্ধ : রাজা পাপিষ্ঠা রানিকে শাস্তি দিলেন।
পারিভাষিক শব্দ
- Edition- সংস্করণ
- Virile- পুরুষােচিত
- Amplitude- বিস্তার
- Notification- প্রজ্ঞাপন
- Hybrid- সংকর
- Key note- মূল ভাব
- Genocide- গণহত্যা
- Worldview- জাগতিক দর্শন
- Robot- যন্ত্রমানব
- Portfolio- দপ্তর
- Nomination- মনােনয়ন
- Hygiene- স্বাস্থবিদ্যা
- Deed- দলিল
- Council- পরিষদ
সমার্থক শব্দ
- কুল : তট, কিনারা, আশ্রয়, তীর, সৈকত
- পৃথিবী : ধরা, ধরণি, মেদিনী, বসুন্ধরা, মর্ত্য।
- রাত : নিশি, নিশা, রজনি, শর্বরী, ত্রিযামা, রাত্রি।
- হাত : কর, বাহু, ভুজ, পাণি, হস্ত
- স্বর্গ : বেহেশত, দেবলােক, অমরাবতী, ইন্দ্রলােক।
বিপরীতার্থক শব্দ
- অর্পণ- গ্রহণ
- অমরাবতী- নরক
- ঈশান- নৈর্ঋত
- ঐশ্বর্য- দারিদ্র্য
- গৃহী- সন্ন্যাসী
- নির্মল- পঙ্কিল
- মনীষা- নির্বোধ
- রমণীয়- কুৎসিত
- সাদৃশ্য- বৈসাদৃশ্য
- অনন্ত- সান্ত
- রাশভারী- চঞ্চল
ধ্বনি ও বর্ণ
- যে ধ্বনি উচ্চারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়- ব্যঞ্জনধ্বনি।
- বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা- ২৫টি।
- বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনিগুলাে যে ধ্বনি- মহাপ্রাণ।
- ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণে যে ধ্বনির আগমন আবশ্যক- স্বরধ্বনি।
- বাকস > বাসক ও পিশাচ > পিচাশ যে ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন- ধ্বনি বিপর্যয়।
- বাংলা বর্ণমালায় হ্রস্ব স্বর বর্ণ- ৪টি।
- বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ- ১০টি।
শব্দ ও পদ
- গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ- দুই প্রকার।
- মস্তক, মাতা, গ্রাম, জ্যোৎস্না, কর্ণ শব্দগুলাে যে ভাষা থেকে আগত- সংস্কৃত ভাষা।
- ‘ডেঙ্গু’ শব্দটি যে ভাষা থেকে এসেছে- স্প্যানিশ।
- ‘পথে পথে’ যে ধরনের শব্দ- পদ দ্বৈত।
- ‘লােভ’ শব্দের বিশেষণ রূপ- লুব্ধ।
- বিভক্তিহীন নাম পদকে বলে- প্রাতিপদিক।
- ‘হাট-বাজার’ শব্দটি যে দুটি ভাষার মিশ্রণ- বাংলা + ফারসি।
- ম্যালেরিয়া, মাফিয়া, ম্যাজেন্টা প্রভৃতি যে ভাষার শব্দ- ইতালিয়ান।
বাক্য
- বাক্যের পদগুলােকে অর্থসঙ্গতিক্রমে পরস্পর সন্নিবিষ্ট করাকে বলে- আসত্তি।
- ‘যতই পরিশ্রম করবে ততই ফল পাবে’ যে ধরনের বাক্য- জটিল।
- ‘পুকুরে পদ্মফুল জন্মে’ যে ধরনের বাক্য- সরল।
- ‘ভিক্ষুককে দান কর’ যে ধ্বনের বাক্য- সরল।
- বাংলাদেশ চিরজীবী হউক যে ধ্বনের বাক্য- অনুজ্ঞাসূচক।
- ‘যতদিন বাচব, ততদিন দেশকে ভালবাসব’ যে ধরনের বাক্য- মিশ্র বা জটিল।
প্রত্যয়
- সাহচর্য = সহচর + য
- দীপ্যমান = দীপ + শানচ্
- সৃষ্টি = সৃজ্ + তি
- দৈনিক = দিন + ষ্ণিক
- জীবন্ত = জীব্ + অন্ত
- আত্মীয় = আত্মন + ঈয়
- দর্শনীয় = দৃশ + অনীয়
- যৌবন = যুবন + অ
- মহিমা = মহৎ + ইমন
- শৈশব = শিশু + অ
সন্ধি
- বাংলা যে পদের সন্ধি হয় না- ক্রিয়াপদ
- মনীষা = মনস্ + ঈষা
- নিষ্ঠা = নিঃ + ঠা
- নাবিক = নৌ + ইক
- মৃন্ময় = মৃৎ + ময়
- নদ্যম্বু = নদী + অম্বু
- পশ্বধম = পশু + অধম
- গায়ক = গৈ + অক
- কিঞ্চিৎ = কিম্ + চিৎ
- উড্ডীন = উৎ + ডীন
- চিন্ময় = চিৎ + ময়
- সংসদ = সম্ + সদ
সমাস
- সমাসের রীতি যে ভাষা থেকে এসেছে- সংস্কৃত
- যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটিকে বলে- সমস্যমান পদ
- বৌভাত- কর্মধারয়
- পঞ্চনদ- দিগু
- আনত- অব্যয়ীভাব
- কুশীলব- দ্বন্দ্ব
- নীলাম্বর- কর্মধারয়
- নীলবসনা- বহুব্রীহি
- কদাচার- কর্মধারয়
- পঞ্চনদ- দ্বন্দ্ব
- নরাধম- কর্মধারয়
- গোঁফ খেজুরে- বহুব্রীহি
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন :
বাংলা সাহিত্য
প্রাচীন ও মধ্যযুগ
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগ- ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
- মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’ উক্তিটি যে কাব্যের অন্তর্গত- অন্নদামঙ্গল।
- শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে বলা হয়- কড়চা ।
- জয়নরে চৌতিশা’ যার রচনা- শেখ ফয়জুল্লাহ।
- চর্যাপদের পুঁথিগুলাে প্রথম বই আকারে প্রকাশ করে- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
- চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত একথা প্রথম প্রমাণ করেন- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
- চর্যাপদে মােট প্রবাদ বাক্য রয়েছে- ৬টি।
- চর্যাপদের ভাষাকে যে ভাষা হিসেবে মনীষীরা অভিহিত করেছেন- সন্ধ্যা ভাষা।
- চর্যাপদের যে পদটি টীকাকার ব্যাখ্যা করেননি- ১১ নং পদ।
- চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন- কাহ্নপা।
- মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম- পদ্মপুরাণ।
- চমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র- কালকেতু।
- পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক- ফকির গরীবুল্লাহ।
- সতীময়না ও লােরচন্দ্রানী’ কাব্যটি রচনা করেছেন- দৌলত কাজী।
- ‘হপ্তপয়কর’ কাব্যটি যার রচনা- আলাওল।
- প্রাচীনতম বাঙালি মুসলিম কবি- শাহ মুহম্মদ সগীর।
- ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ উক্তিটি- চন্ডিদাসের।
আধুনিক যুগ (১৮০০-বর্তমান)
- ‘মােস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা- মাওলানা আকরাম খাঁ।
- ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ উপন্যাসটি লিখেছেন- আবু জাফর শামসুদ্দীন।
- ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ যে ধরনের রচনা নাটক।
- আবোল-তাবােল’ গ্রন্থটি যার লেখা-সুকুমার রায়।
- ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা- ফররুখ আহমদ।
- চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ লিখেছেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
- ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়-১৯২৬ সালে।
- ‘শিখা’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন- আবুল হুসেন।
- বাংলা ভাষার গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির বিভাগ রয়েছে- চারটি।
- হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশিত হয়- ১৮৬৩ সালে।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস- চোখের বালি।
- হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ উপন্যাসের রচয়িতা- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
- ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ যে ধরনের সাহিত্যকর্ম- কাব্যনাট্য।
- ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থের’ নায়িকার নাম- সাজু।
- মীর মশাররফ হােসেনের জন্মস্থান- লাহিনীপাড়া, কুষ্টিয়া।
- কাজী নজরুর ইসলাম একুশে পদক লাভ করেন- ১৯৭৬ সালে।
- প্যারীচাদ মিত্রের নাম- টেকচাঁদ ঠাকুর।
- বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- তিলােত্তমাসবে কাবা।
- ‘নীলদর্পণ’ নাটকের কাহিনি যে অঞ্চলের- মেহেরপুর।
- ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা যে ধরনের গ্রন্থ- আত্মজীবনীমূলক।
- ‘চাচা-কাহিনী’ ও ‘টুনিমেম’ গল্পের রচয়িতা- সৈয়দ মুজতবা আলী।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্প- অতসীমামী।
Recent Comments